গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মালদহের ইংলিশবাজার ও পুরাতন মালদহ, দুই শহরের একাধিক পুজো কমিটির মণ্ডপ হয় রাস্তার ধারে। সেক্ষেত্রে ওই নির্দেশ মান্য করা হবে কিভাবে, তা নিয়েই মাথা ঘামাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। ইংলিশবাজার শহরের শান্তি ভারতী পরিষদের পুজো কমিটির সম্পাদক শক্তি দেব বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে আমরা মাপজোক শুরু করেছি। তাতে যা দেখা যাচ্ছে, আমাদের খুব একটা অসুবিধা হবে না। এছাড়া শহরের ৪২০ মোড় থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব অনুযায়ী গোল গোল দাগ টেনে দেওয়া হচ্ছে।
শহরেরই বালুচর কল্যাণ সমিতির সম্পাদক অমিতাভ শেঠ বলেন, আমাদের মণ্ডপ থেকে রাস্তার দূরত্ব প্রায় ২০০ মিটার। আমাদের ক্ষেত্রে ততটা সমস্যা হবে না। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে আমরা দুটি এলইডি টিভি লাগিয়ে দেব। সেখানে আমাদের মণ্ডপ ও পুজোর লাইভ সম্প্রচার হবে।
পুরাতন মালদহ শহরের মঙ্গলবাড়ির শঙ্কর স্মৃতি সঙ্ঘের অন্যতম কর্মকর্তা হারাধন সাহা বলেন, আমাদের পুজো মণ্ডপ থেকে রাস্তার দূরত্ব প্রায় ১৫ ফুট। ফলে আমাদের সমস্যা বেড়ে গিয়েছে। তাই প্রতিমা যে জায়গায় থাকবে সেখান থেকে ১০ মিটার দূরত্ব আমরা বজায় রাখছি।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের উত্তমাশা ক্লাব এবছর কোভিড হাসপাতালের আদলে মণ্ডপ বানিয়েছে। কিন্তু সেই মণ্ডপে আদৌ দর্শনার্থীরা ঢুকতে পারবেন কি না, সেটাই তাঁরা বুঝতে পারছেন না। তবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের রায় মেনেই সমস্ত নিয়মকানুন মেনে চলার কথা জানিয়েছেন।
উত্তমাশা ক্লাবের সভাপতি রঞ্জিত সাহা বলেন, মণ্ডপের ভেতরে অনেক বড় মাঠ আছে। স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া ও সমস্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করানোর কথা ছিল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে সেসব বন্ধ থাকবে। কচিকলা অ্যাকাডেমির সম্পাদক দিবাকর ভট্টাচার্য বলেন, মণ্ডপের ১০ মিটার দূরে বাঁশ দিয়ে আটকে দেব। বালুরঘাট অভিযাত্রী ক্লাবের সম্পাদক সুমিত চক্রবর্তী বলেন, আমাদের মণ্ডপ মাঠের মাঝখানে উন্মুক্তভাবে তৈরি করা হয়েছে। কাউকে ভেতরে ঢোকার প্রয়োজন নেই। রাস্তা থেকেই ১০ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে ঠাকুর দেখা যাবে।
এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রণবকুমার ঘোষ বলেন, আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশিকা আসেনি।
উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জের অনেক পুজো উদ্যোক্তাই পুজো নিয়ে এখনও প্রশাসনের নির্দেশের অপেক্ষা করছেন। রায়গঞ্জের বিপ্লবী ক্লাবের পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা তনয় দাস বলেন, প্রশাসনের নির্দেশ আমরা এখনও পাইনি। অরবিন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোক্তা সম্রাট বোস বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করেছি।
এছাড়া নো এন্ট্রি বোর্ডও থাকবে। কালিয়াগঞ্জের শেঠ কলোনি সার্বজনীন দুর্গোৎসবের উদ্যোক্তা কার্তিক পাল বলেন, আমরা খোলা মণ্ডপের বন্দোবস্ত করেছি। দূরত্ব বজায় রেখেই ঠাকুর দেখা যাবে। তবে প্রশাসন আমাদের এখনও কিছু জানায়নি।