কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সোমবার ঝটিকা সফরে শিলিগুড়িতে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। বিজেপি সূত্রে খবর, আট জেলার দলীয় সভাপতি, সম্পাদক সহ শীর্ষ কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে দলের হালচাল সম্পর্কে সর্বভারতীয় সভাপতি জানতে চান। তখন বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি কার্যকর্তারা উত্তরকন্যা অভিযানের প্রস্তাব দেন। এতে সবুজ সঙ্কেত দেওয়ায় আট জেলার নেতৃত্ব পুজোর পর উত্তরবঙ্গের সচিবালয় ‘উত্তরকন্যা’ অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়। ওই অভিযানের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও তারা নবান্ন অভিযানের কায়দায় তা করার কথা ভাবছে। দলের কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি ধমসা, মাদল নিয়ে আদিবাসী, রাজবংশী, গোর্খা সহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অভিযানে শামিল হবেন। এজন্য কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, কালিম্পং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলার নেতৃত্বকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ বর্মন বলেন, উত্তরবঙ্গের উর্বর মাটিতে পদ্মের বাগান তৈরি হলেও উত্তরকন্যা অভিযান কোনওদিন করা হয়নি। নবান্ন অভিযানেও এখানকার কার্যকর্তারা শামিল হতে পারেননি। তাই শিলিগুড়ির মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যানের দুর্নীতির কিনারা, পুলিসি সন্ত্রাস ও জুলুম বন্ধ করা, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা সহ একগুচ্ছ দাবিতে উত্তরকন্যা অভিযানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই অভিযান ‘মেগা’ কর্মসূচির রূপ নেবে। পুজোর পরেই দলে আলোচনা করে এই কর্মসূচির দিন-তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ৮ অক্টোবর বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ব্যাপক হাঙ্গামা হয়। ওইদিন মিছিলে বোমাবাজি করার অভিযোগ ওঠে। বিক্ষোভকারীদের রুখতে জলকামান চালায় পুলিস। বিধানসভা ভোটের মুখে সেই কায়দায় তাদের উত্তরকন্যা অভিযান কর্মসূচি তাৎপর্যপূর্ণ। নভেম্বরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এখানে আসতে পারেন। গোটা বিষয় ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।