বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ওই ঘটনায় বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। মৃতের দাদা সওকত আলি বলেন, সোমবার রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে ভাই বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। এদিন সকালে বাংলাদেশ সীমান্তে ভাইয়ের দেহ পড়ে থাকার খবর পাই। কীভাবে এমনটা ঘটল, বুঝতে পারছি না। আমরা পুলিসের কাছে ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছি। এদিকে, যুবকের বাড়ি থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। রাতে সাধারণত খাওয়ার পর বাসিন্দারা নিজের গ্রামেই ঘোরাফেরা করে। কিন্তু পরিবারের কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে অত দূরে সীমান্তের কাছে কেন তিনি গিয়েছিলেন, তার কোনও সদুত্তর কেউ দিতে পারেনি।
মালদহ সদরের ডিএসপি প্রশান্ত দেবনাথ বলেন, ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কীভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওই ঘটনার পিছনে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ পাচার চক্রের হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই যুবকের সঙ্গে কোনও না কোনওভাবে সেই চক্রের যোগ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিস এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশে কাফ সিরাপের চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়েছে। প্রতিবছরই পুজোর সময় বাংলাদেশে মাদক এবং নেশার সামগ্রী বেশি বিক্রি হয়। এবারও মালদহের মাটিকে পাচারকারীরা ব্যবহার করছে। সম্প্রতি এনসিবি’র হাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের এক পাচারকারী গ্রেপ্তার হয়। ধৃতকে জেরা করে ওই সংস্থার আধিকারিকরা বিভিন্ন তথ্য পান। পুলিসের হাতেও পাচার সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য এসেছে। কাশির সিরাপ পাচারকারীরা কালিয়াচক এবং বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি সিবিআইয়ের হানার পর গোরু পাচার কমে গিয়েছে। পরিবর্তে সীমান্তে মাদক পাচারের রমরমা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাচার বেড়ে যাওয়ায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরাও সক্রিয়। তাঁরা টহলদারি বাড়িয়েছেন। ফলে মাঝেমধ্যেই পাচারকারীদের তাঁরা তাড়া করছেন বলে বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে, এদিনের ঘটনার পর কালিয়াচক থানার পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পাশের থানা এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক রাতের অন্ধকারে সীমান্তের কাছে গেলেও কেন পুলিস কিছু জানতে পারল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।