পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রামেন্দ্র ভবনের ভট্টাচার্য পরিবারের অন্যতম সদস্য কল্যাণ ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের পরিবারের পূর্বপুরুষরা সাড়ে তিন শতাব্দী আগে বাংলাদেশে এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন। রংপুরের উলিপুরে আমাদের জমিদারি ছিল। এবার এই পুজো ৩৫৬ বছরে পা দিচ্ছে। আমাদের পুজোয় প্রতিমার গায়ের রং বাসন্তী। একচালার প্রতিমা হয়। পুজোর দিনগুলিতে প্রতিদিনই পাঁঠা বলি দেওয়া হয়। কিন্তু এবার করোনার কারণে পরিবারের অনেক সদস্যই আসতে পারছেন না। লোকবল কম থাকার কারণে পাঁঠা বলি হবে না। পরিবর্তে পায়রা বলি দেওয়া হবে। পরিবারের সদস্যদেরই এই প্রতিমা বাড়িতে ঢোকানো, বের করা ও বিসর্জনের সময় হাত লাগাতে হয়। লোকসংখ্যা কম থাকায় তাই এবার প্রতিমার উচ্চতাও কিছুটা কম করা হয়েছে। করোনার কারণে এবার ভোগ, দান প্রভৃতি গ্রহণ করা হবে না। বাইরে থেকে এসে অঞ্জলিও দেওয়া যাবে না।
জানা গিয়েছে, দেশভাগের পর দুই বছর এই পুজো কোচবিহারের গুড়িয়াহাটি এলাকায় হয়েছে। তারপর থেকে ধর্মতলার বর্তমান জায়গাতেই এই পুজো হয়ে আসছে। এখানে প্রতিপদে ঘট বসে। সেই ঘটে পুজো শুরু হয়। এরপর ষষ্ঠীর দিন প্রতিমা এলে বিল্লপত্র বরণ হয়। তারপর সপ্তমীর পুজো হয়। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে বোয়াল মাছ ভোগ দেওয়া হয়। এছাড়াও থাকে নিরামিষ ভোগ। সন্ধি পুজোর সময় বলি হয়। এছাড়াও ৬৪ যোগীনির পুজো হয়। প্রতিবার মহাষ্টমীর দিন খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হলেও এবার তা হচ্ছে না। দশমীর দিন প্রতিমা স্থানীয় রাজমাতা দিঘিতে বিসর্জন দেওয়া হয়।