কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ইসলামপুরের মিলনপল্লি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি তাদের মণ্ডপের মাধ্যমে মাস্কের ব্যবহার নিয়ে সচেতনতার প্রসারে জোর দিতে চেয়েছে। মিলনপল্লি সর্বজনীনের পুজোর এবার ৪৬ তম বর্ষ। প্রতিবছরই ওই পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা থিমের নতুনত্বে শহরের বাসিন্দাদের আকৃষ্ট করেন। দর্শনার্থীরা এই পুজো কমিটির মাটির তৈরি মডেলের আকর্ষণেই বারবার আসেন। এবছর করোনা পরিস্থিতিতেও তাঁদের বৈশিষ্ট্য থেকে সরে আসছেন না উদ্যোক্তারা। এবারও তাঁদের মণ্ডপে থাকছে মাটির মডেল। সেই মডেলগুলির মাধ্যমেই মাস্ক না পরলে কী হয়, সেসব দৃশ্য তুলে ধরা হবে। কোথাও দেখানো হবে, মাস্ক ছাড়া দোকানে গেলে দোকানদার কোনও সামগ্রী বিক্রি করছে না। কোথাও আবার দেখানো হবে, বিনা মাস্কে বাইরে ঘোরাঘুরি করার ফলে পুলিস ধরে কান ধরে ওঠবস করাচ্ছে। মণ্ডপের যেখানে দেবী প্রতিমা থাকবে, তার সামনের ফাঁকা জায়গাতেই ওই মডেলগুলি রাখা থাকবে। যে স্থানীয় মৃৎশিল্পী প্রতিমা তৈরি করছেন, তাঁকেই সেইসব মডেল তৈরির বরাতও দেওয়া হয়েছে। পুজা কমিটির সম্পাদক হিমাংশু সরকার বলেন, করোনার মোকাবিলায় সকলেরই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। তারপরেও বসিন্দাদের একাংশ মাস্ক ব্যবহার করছেন না। তাঁদের সচেতন করতেই এবার এধরনের মডেল রাখা থাকছে আমাদের মণ্ডপে। মণ্ডপে আমরা মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও রাখব। যদি কোনও দর্শনার্থী মাস্ক আনতে ভুলে যান, তবে তাঁকে কমিটির পক্ষ থেকে তা দেওয়া হবে। এদিকে, ডালখোলার বাঘা যতীন ক্লাবও দর্শনার্থীদের কাছে বেশ পরিচিত নাম। অন্যান্য বছর ওই ক্লাবের পুজোয় দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি আলাদা। কালিয়াগঞ্জের এক চিত্রশিল্পীর আঁকা ছবি দিয়েই মণ্ডপ সাজাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। পুজো কমিটির সম্পাদক অজিত মাহাত বলেন, মণ্ডপের একটি দেওয়ালজুড়ে ফুটিয়ে তোলা হবে গ্রামবাংলার ত্রিমাত্রিক দৃশ্য। ছবিতে দেখানো হবে, গ্রামের মানুষ রাস্তা দিয়ে রথে করে দেবীকে নিয়ে যাচ্ছেন। সেই দৃশ্যে গ্রামবাসী বা রাস্তা সহ অন্যান্য অংশ আঁকা থাকলেও দেবীর প্রতিমা হবে মাটির তৈরি। কার্যত হাতে আঁকা ছবি ও মাটির প্রতিমার কোলাজ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে ওই দৃশ্য। এর ফলে গোটা বিষয়টিতে একটি ত্রিমাত্রিক এফেক্ট আসবে। এর আগে ডালখোলা শহরে এমন আয়োজন আর কেউ করেনি। আমাদের মণ্ডপেই প্রথম হচ্ছে।
বাঘা যতীনের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হবে। দু’টি থার্মাল গান নিয়ে মণ্ডপের মুখেই হাজির থাকবেন স্বেচ্ছাসেবকরা। দর্শনার্থীদের দেহের তাপমাত্রা মাপা হবে। এছাড়াও পুজোর ক’দিন পাঁচ হাজার মাস্ক বিতরণের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। দু’টি পুজোর উদ্যোক্তাদেরই দাবি, সবরকম নিরাপত্তা বিধি মেনে পুজোর আয়োজন করা হলে করোনা পরিস্থিতিতেও উৎসবের আমেজ উপভোগ করা যাবে।