রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
দার্জিলিংয়ের সবচেয়ে পুরনো দুর্গাপুজো হচ্ছে নৃপেন্দ্রনারায়ণ বেঙ্গলি হলের দুর্গাপুজা। শতবর্ষ উত্তীর্ণ পাহাড়ের এই পুজো কমিটির সম্পাদক প্রদীপ গোয়া বলেন, করোনার জন্য এবার পুজোর বাজেট আমরা কমিয়ে দিয়েছি। সরকারি নির্দেশিকা মেনেই এবারও মায়ের পুজোর আয়োজন করছি আমরা। অন্যান্য আচার নিয়মে কোপ পড়লেও পুজোয় ভোগ হবে। পুজোর প্রস্তুতি এখন জোরকদমে চলছে।
মোর্চার বিনয় তামাংপন্থীর দার্জিলিং টাউন কমিটি দার্জিলিংয়ের চৌরাস্তা ম্যালে এবারও দুর্গাপুজো করছে। নবরাত্রি থেকেই তাঁদের দুর্গাপুজার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। টাউন কমিটির সম্পাদক সাগর তামাং বলেন, গতবছর বড় বাজেটে আমাদের দুর্গাপুজো হয়েছিল। প্রচুর দর্শনার্থী সমতল শিলিগুড়ি এবং ডুয়ার্স থেকে এসেছিলেন। গতবছর পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরাও আমাদের পুজোয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু এবার আর্থিকমন্দা ও করোনা সংক্রমণের জন্য কারও কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া যাচ্ছে না। তাই এবার অত্যন্ত ছোট আকারে আমরা কোনওমতে পুজো করব।
কোভিড পরিস্থিতিতে কার্শিয়াংয়ের রাজ রাজেশ্বরী হলের দুর্গাপুজোও হচ্ছে সমস্ত সরকারি নির্দেশিকা মেনে। এই পুজো কমিটির সম্পাদক চন্দন কর্মকার বলেন, যথাসম্ভব করোনার সংক্রমণের ছোঁয়া এড়িয়ে এবার আমরা দুর্গাপুজো করছি। পুজোতে কোনও জাঁকজমক থাকবে না। করোনার কারণে ছোট করে পুজো হলেও পুজো হবে নিষ্ঠা ও চিরাচরিত ঐতিহ্য অনুসরণ করে।
অন্যান্য বছর পুজোর সময়ে পাহাড়ে অনেক পর্যটক আসেন। এবার এখনও পাহাড় পর্যটক শূন্য হয়ে আছে। তাই বাইরের লোকজন পাহাড়ের পুজোয় অংশগ্রহণ করবেন না বললেই চলে। শিলিগুড়ি কিংবা ডুয়ার্স থেকে একবেলার জন্য কেউ কেউ পুজো দেখতে এলেও সেই সংখ্যাটি কম হবে বলে মনে করেন পুজো উদ্যোক্তারা। নিজস্ব চিত্র