নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার ও সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: কোচবিহারে দলীয় কোন্দল মেটাতে মাথাভাঙায় জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের বাড়িতে বৈঠক হল। কিন্তু যাঁকে নিয়ে কোন্দল চূড়ান্ত পর্যায়ে সেই মিহির গোস্বামী এবারও গরহাজির থাকলেন। ছিলেন না দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। যদিও উদয়নবাবু জানিয়েছেন, দলীয় এক কর্মসূচির জন্য তিনি বৈঠতে থাকতে পারেননি। আর মিহিরবাবু আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন সাংগঠনিক পদ যখন ছেড়েছি, তখন ওই বৈঠকে যাওয়ার কোনও মানে হয় না। জেলার মোট ৮ জন বিধায়কের মধ্যে ৫ জন হাজির ছিলেন, তবে বৈঠক শুরু হওয়ার অল্পক্ষণ পরেই বেরিয়ে যান তুফানগঞ্জের বিধায়ক ফজলে করিম মিঁয়া। দলীয় সূত্রের খবর, বৈঠকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দফায় দফায় নেতাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলে। মনোমালিন্যের কারণেই ফজলে করিম বেরিয়ে যান বলে খবর। যদিও তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, আমার অন্য কাজ ছিল। তবে অন্য কাজের অজুহাতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে ডাকা বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য পরেশচন্দ্র অধিকারী ও আব্দুল জলিল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
মাতৃ বিয়োগের কারণে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সভায় ছিলেন না। তাঁর হয়ে সভায় যোগ দেন তাঁর ছেলে পঙ্কজ। বিনয়বাবু বলেন, সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিধায়কদের গুরুত্ব দিয়ে অঞ্চল কমিটিগুলি যাতে গঠন করা হয় সেই কথা হয়েছে। ব্লক কমিটি গঠনের পর মাঝে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। শীঘ্রই মিটে যাবে।