পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, এরাজ্যে দীর্ঘদিন ধরেই অনলাইন লটারি খেলার চল রয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা ওই ধরনের খেলার আয়োজন করে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় খেলা হয়। দু’টাকা থেকে টিকিটের দাম শুরু হয়। লটারির পুরস্কার নগদ অর্থে মেটানো হয়। পুরস্কারের টাকা লটারি কাউন্টারের মালিক সঙ্গে সঙ্গে দিয়ে দেন। ফলে অনেকেই চটজলদি টাকা পাওয়ার লোভে অনলাইন লটারির ফাঁদে পা দিয়ে থাকেন। তবে ওই ধরনের লটারি কেটে কেউ লাভবান হয়েছেন বলে শোনা যায় না। দু-একবার পুরস্কার জিতলেও টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরা সহজ হয় না। অনেক সময় পুরস্কার বাবদ পাওয়া অর্থে ফের টিকিট কাটার জন্য জোর করা হয় বলে অভিযোগ। অনেকে লটারির নেশায় বুঁদ হয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে কাউন্টারে ঢোকেন। সেখান থেকে শূন্য হাতে বের হন। এভাবেই দিনের পর দিন বহু মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে, অনলাইন লটারি কারবারের সঙ্গে যুক্তরা দিনদিন ফুলেফেঁপে উঠছে।
পুলিস এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংলিশবাজার শহরের বিনয় সরকার রোড, বাঁধ রোড, পিয়াজি মোড়, স্টেশন রোড, কে জে স্যান্যাল রোড সহ সিংহভাগ ওয়ার্ডে ব্যাঙের ছাতার মতো অনলাইন লটারির কাউন্টার খোলা হয়েছে। একজন ব্যক্তি একাধিক কাউন্টার চালাচ্ছে, এমন নজিরও রয়েছে। বাইরে থেকে লটারি কাউন্টারগুলিকে সাইবার কাফে হিসেবে ভুল হতে পারে। কাউন্টারের সামনে পুরু কাপড়ের পর্দা টাঙানো থাকে। বাইরে থেকে যাতে ভিতরের কিছু না দেখা যায়, তারজন্যই এই ব্যবস্থা। ভিতরে এক বা একাধিক কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ নিয়ে কাউন্টারের কর্মীরা বসে থাকে। অনলাইনেই টিকিট কাটতে হয়। প্রিন্টারে কুপন আকারের কাগজের টুকরো বের হয়। তাতে টিকিট নম্বর লেখা থাকে। অনলাইন লটারি চক্র পুজোর মরশুমে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইংলিশবাজার শহরে। পুজোর বাজার করতে গিয়েও অনেকে কাউন্টারে ঢুকছে। টাকা খোয়ানোর পর খালি হাতে বাড়ি ফিরছে।