কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষাদপ্তরে থেকে ছাত্রছাত্রীদের জন্য চারটি ক্লাস রুম তৈরি করতে ২৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। সেই টাকায় পুরনো ক্লাস রুমটি ভেঙে সেখানে ৫৫ ফুট লম্বা বিল্ডিং তৈরির কথা বলা হলেও স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরিচালন সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে সেটি ৬০ ফুট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। অভিযোগ, পুরনো বিল্ডিংয়ের ইট, কাঠ, সরু রড দিয়ে নয়া বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বিপুল সাহা বলেন, নিম্নমানের কাজ হচ্ছে এখানে। পুরনো ইট দিয়ে গাঁথা হচ্ছে। আমরা লক্ষ করেছি, বালির সঙ্গে সিমেন্টের ভাগও ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে না। দরজা ও জানালায় পুরনো কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। আগেও প্রধান শিক্ষককে এ বিষয়ে বলা হয়েছিল। কিন্তু কাজ হয়নি। স্কুলে নিম্নমানের কাজের প্রতিবাদ এদিন আমরা সকলে মিলে করি।
আরএক বাসিন্দা অভিজিৎ পাল বলেন, প্রধান শিক্ষক ও পরিচালন সমিতির সভাপতি নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে এসব করছেন। নতুন নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করলে আমরা আর কাজ এগতে দেব না।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আক্কাস আলি বলেন, নির্মাণ কাজ নিম্নমানের হওয়ার ব্যাপারে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। যা কাজ হচ্ছে তা পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্ত এবং ইঞ্জিনিয়ারের তত্ত্বাবধানেই হচ্ছে। কাজ নিম্নমানের হচ্ছে কি না সেটা দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার বলতে পারবেন। আমি এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ নই। তাছাড়া পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্ত অনুসারে লম্বায় ৫৫ ফুটের ঘরের জায়গায় ৬০ ফুট করা হয়েছে। স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি পরেশচন্দ্র রায় বলেন, যা বরাদ্দ ছিল তার থেকে পাঁচফুট বিল্ডিংটি বাড়ানো হয়েছে। এতে ছাত্রছাত্রীদের বসতে সুবিধা হবে। সেইজন্য আমরা ওই অংশে কিছু পুরনো কাঠ, ইট ব্যবহার করেছি। এ ব্যাপারে কে কি অভিযোগ করছে আমার জানা নেই।