পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এবিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, আমাদের প্রগতি প্রকল্প চাকরি প্রার্থীদের জন্য খুবই কার্যকরী হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে অনেকে পরীক্ষার্থী সফল হচ্ছেন। গত বছর ২৫ জনের পরে এবছর ২২ জন পরীক্ষায় বসেছিলেন। তারমধ্যে ২০ জন সফল হয়েছেন। যা আমাদের কাছে গর্বের। আমরা চাইব এই ভাবেই আগামীতেও আমাদের প্রকল্পের আওতায় থাকা পড়ুয়ারা তাঁদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছক। আমরা সমস্ত রকম সহযোগিতা করতে রাজি আছি।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় গত দু’বছর ধরে রায়গঞ্জ পুলিস জেলার কমিউনিটি পুলিসিং প্রকল্পের আওতায় শুরু হয়েছে প্রগতি নামে একটি কার্যক্রম। যেখানে আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন জনজাতি থেকে শুরু করে দুঃস্থ পরিবারদের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের চাকরির পরীক্ষার জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পুলিস ও সামরিক বাহিনীর যে কোনও ধরনের চাকরিতে বসার জন্য যোগ্যতা শারীরিক ক্ষমতা সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন জেলা পুলিসের আধিকারিকরা। গত বছর এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রগতি কার্যক্রমের অন্তর্গত ২৫ জন ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২১ জন পুলিসে এবং বাকি চার জন নৌবাহিনী সহ অন্যান্য কাজে যুক্ত হয়েছেন। এবছরও একই ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর রাজ্য পুলিসের কনস্টেবল পদের পরীক্ষায় বসেই বাজিমাত করেন ২০ জন। স্বাভাবিকভাবেই দু’বছর মিলিয়ে ৪৫ জনের বিভিন্ন বাহিনীতে নিয়োগ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত রায়গঞ্জ পুলিস জেলার আধিকারিকরা। তাঁদের বক্তব্য, আগামীতেও যেসকল দুঃস্থ, মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনার জন্য বা চাকরির পরীক্ষা দিতে চান তাঁদের সাহায্য করা হবে। গত বছর এই প্রশিক্ষণের মূল দায়িত্বে ছিলেন রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার প্রাক্তন ডিএসপি হেড কোয়ার্টার গোবিন্দ শিকদার। সম্প্রতি তিনি অন্য জেলায় বদলি হয়েছেন।