গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছিল কেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একটি ঝাড়খণ্ডের নম্বরযুক্ত গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেটি পালানোর সময়ে দুর্ঘটনায় পড়েছিল। ওই গাড়িতে যে দুষ্কৃতীরা ছিল তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা হয়েছে। পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সব কিছু খতিয়ে দেখেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার ভরদুপুরে মশালদহ বাজারে অপহরণের চেষ্টা করা হয় ব্যবসায়ী তথা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সহ সভাপতি জহিরুল ইসলামকে। তিনটি গাড়ি নিয়ে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। তাঁর দোকান থেকে ওই ব্যবসায়ীকে টেনে-হিঁচড়ে একটি গাড়িতে তোলা হয়। সেসময় বাধা দিতে এলে সেই ব্যবসায়ীর স্ত্রীয়ের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়া হয়। মেরে তাঁর হাত ভেঙে দেওয়া হয়। তারপর তিনটি গাড়িই পালানোর চেষ্টা করে। পিছনের গাড়িটি ভালুকা ফরেস্টের কাছে নয়ানজুলিতে উল্টে যায়। সেটিই ঝাড়খণ্ডের গাড়ি। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা দুষ্কৃতীদের দু’টি গাড়ি আটকান। সামনের গাড়িটি গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে গেলেও অন্য গাড়ি থেকে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়। যেভাবে দুষ্কৃতীরা গোটা কাণ্ডটি ঘটায় তাতে তারা পেশাদার বলেই মনে করা হচ্ছে। সেজন্যই উঠে আসছে ভাড়াটে গুন্ডা নিয়ে আসার তত্ত্ব।
এদিকে ওই ঘটনায় যে পাঁচজনকে পুলিস আটক করেছে,তাঁদের মধ্যে দু’জন এলাকায় তৃণমূলের নেতা বলে পরিচিত। দলের এক নেতাকে অপহরণের ঘটনায় দলেরই দুই নেতার নাম জড়ানোয় অস্বস্তিতে পড়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও ওই ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগ থাকার কথা অস্বীকার করেছে জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে দল কিছু জানে না। এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে কেউ অন্যায় করলে আইন আইনের পথেই চলবে।
প্রসঙ্গত, মালদহের সঙ্গে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের সীমান্ত রয়েছে। সড়কপথে ভালো যোগাযোগও রয়েছে। সেই সীমান্ত দিয়ে অনেক সময়ই পাচার চলে। বিষয়টি পুলিসেরও অজানা নয়। অনেক সময় প্রতিবেশী রাজ্যে অপরাধ করে এসে এরাজ্যে আশ্রয় নেয় দুষ্কৃতীরা। অথবা উল্টোটা। এবার ভিনরাজ্য থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে অপরাধ করার মতো ঘটনাও ঘটছে কি না, সেদিকে নজর দিচ্ছে পুলিস।