বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
এদিন সকালেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিস। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃতদেহটি বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকায় তদন্তকারী অফিসারদের খটকা লেগেছে। যদিও মালদহ থানার পুলিস কর্তারা মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি। সম্প্রতি মিশন রোড, নারায়ণপুর এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে একাধিক দুষ্কৃতী হামলার ঘটনা ঘটেছে। ট্রাকচালকরা ওই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে রীতিমতো আতঙ্কে থাকেন রাতের বেলায়। এদিনের এই মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে সেরকমও কোনও দুষ্কৃতী দলের যোগ রয়েছে কি না, সে বিষয়টিও তদন্তকারী অফিসারদের ভাবাচ্ছে। যদিও এনিয়ে মালদহ থানার পুলিসের কোনও আধিকারিক প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি।
মালদহ থানার পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে। জেলার অ্যাডিশনাল এসপি সদর হোসেন মেহেদী রেহেমান বলেন, কালুয়াদিঘিতে জাতীয় সড়কের ধারে ট্রাকের পাশ থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনই বলা সম্ভব নয়। ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিজেপির প্রভুনাথ দুবে বলেন, জাতীয় সড়কের ধারে যেখানে ওই দেহটি পাওয়া গিয়েছে, তার আশেপাশেই একটি হোটেল রয়েছে। কিভাবে মৃত্যু হয়েছে বোঝা যাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাত হলেই ওই এলাকা ছিনতাইবাজদের দখলে চলে যায়। এই মৃত্যুর ঘটনাতেও সেরকমই কোনও দুষ্কৃতী দলের যোগ তাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। নারায়ণপুর এলাকায় জাতীয় সড়কে সম্প্রতি ফালাকাটার এক ট্রাকচালক দুষ্কৃতীদের কবলে পড়েছিলেন। দুষ্কৃতীরা তাঁর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই করে। দু’দিন আগেই নারায়ণপুরেই একটি হোটেলের পাশে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। সেই ঘটনায় ওই হোটেলের কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তার পরদিন ভোরে মিশন রোড এলাকায় এক গাড়িচালক ছিনতাইবাজের কবলে পড়েন। তাঁকে চাকু মেরে জখম করা হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ট্রাকটি নাগাল্যাণ্ডের। ট্রাকের নথিপত্র থেকে চালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। মৃতদেহের আশেপাশে কোনও পোশাকও উদ্ধার না হওয়ায় মৃতের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও ট্রাকের সূত্র ধরেই পুলিস মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে। মৃতদেহের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন না থাকায় মৃত্যুর কারণ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের একটি অংশের দাবি, রাতে জাতীয় সড়কের আশেপাশের হোটেলগুলোতে মধুচক্রের আসর বসে। সেই আসরে যোগ দিয়ে কোনও বচসায় জড়িয়ে পড়ে বা কারও রোষের মুখে পড়েও প্রাণ হারাতে পারেন ওই ব্যক্তি।