কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা রিলিফ ক্যাম্পগুলিতে প্রয়োজন মতো ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছি। এছাড়াও প্রতিনিয়ত নদীগুলির জলস্তর নিয়ে নজরদারি চলছে।
সেচ দপ্তরের নির্বাহী বাস্তুকার স্বপন বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশ সহ উত্তরবঙ্গের ভারী বৃষ্টির কারণে আত্রেয়ীর জলস্তর বেড়েছে। সোমবার আত্রেয়ী, পুনর্ভবা ও টাঙনের জল বাড়ছিল। আজকেও নদী বিপদসীমার উপর দিয়েই বইছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।
জানা গিয়েছে, বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীর জলে সোমবারই প্লাবিত হয়েছিল শহরের খিদিরপুরের হালদার পাড়া এলাকা। এদিন সেখানে জল আরও বেড়েছে। বহু বাসিন্দার বাড়িতে জল ঢুকে পড়েছে। এছাড়াও শহরের একাধিক রাস্তায় হাঁটুজল ছিল এদিনও। শহরের চকভৃগুর বেশকিছু এলাকায় স্লুইস গেট দিয়ে আত্রেয়ীর জল ঢুকে নর্দমা উপচে রাস্তা ভাসিয়েছে। বহু বাড়িতেও জল ঢুকে পড়েছে। এদিকে বালুরঘাট ব্লকের ডাঙি, খিদিরপুর, বটতলা, আখিরাপাড়া, চকভৃগু, ডাকরা, খাসপুর, চককাশি, গঙ্গাসাগর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় জল বেড়েছে। বালুরঘাট ব্লকের খাসপুরে জল ঢুকে পড়ায় বহু বাসিন্দা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা নৌকা ভাড়া করে যাতায়াত করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা রাজেন চৌধুরী বলেন, আমরা এখনও ঘরের সমস্ত সামগ্রী নিয়ে বের করতে পারিনি। তাই নৌকা ভাড়া করে প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে রাখছি।
এদিকে তপন ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ২৫টি গ্রাম পুনর্ভবার জলে প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে জল বাড়ায় অনেকেই ফ্লাড শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছেন। সোমবার রাতে পুনর্ভবার বাঁধ ভেঙে রামপাড়া চ্যাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কসবা, বাটর, মান্দাপাড়া সহ বেশ কিছু এলাকা নতুন করে জলমগ্ন হয়। গ্রামবাসীরাই প্রথমে বাঁধ মেরামতের কাজে হাত লাগান। পরে সেচ দপ্তর ব্যবস্থা নেয়। স্থানীয় বাসিন্দা দেবু রায় ও পঞ্চমী মহন্ত বলেন, আমরা সোমবার থেকে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছি। আমরা কোনও ত্রাণ পাচ্ছি না। এদিন অবশ্য তপনের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন তৃণমূল জেলা সভাপতি গৌতম দাস সহ অন্যান্য নেতারা। কুমারগঞ্জ ব্লকের রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু গ্রাম ইছামতী ও আত্রেয়ীর জলে প্লাবিত হয়েছে।
পুনর্ভবার জল গঙ্গারামপুর-তপন রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে বইছে। গঙ্গারামপুরের বোড়ডাঙ্গি এলাকায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এছাড়াও শহরের ১, ৯, ১০, ১১, ১৪, ১৬ সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এদিন অনেক এলাকাতেই নতুন করে জল ঢুকেছে। এদিন গঙ্গারামপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় সহ অন্যান্যরা।