পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সোমবার ধূপগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিস সুপার (গ্রামীণ) ডেন্ডুপ শেরপা বলেন, রবিবার পাঁচজনকে ধরে তাদের হেফাজত থেকে তিনটি মোবাইল ফোন ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ধৃতরা সকলেই জলপাইগুড়ি জেলার বাসিন্দা। ওই ঘটনায় জড়িত আরও একজনের খোঁজ চলছে। একইসঙ্গে এএসপি বাস মালিকদের কাছে বাসে সিসিটিভি লাগানোর আর্জি রেখেছেন।
গত সপ্তাহে কোচবিহার বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড থেকে করিমপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে একদল দুষ্কৃতী লুটপাট চালায়। তারা চলন্ত বাসে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে, যাত্রীদের মারধর করে তাদের কাছ থেকে টাকাপয়সা, মোবাইল ফোন সহ স্বর্ণলঙ্কার লুট করে। দুষ্কৃতীদের মধ্যে একজন চালককে মারধর করে স্টিয়ারিং থেকে সরিয়ে দিয়ে নিজেই বাস চালায়। লুটপাটের পর ময়নাগুড়িতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে বাস থামিয়ে তারা নেমে গিয়ে অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়েছিল। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিস চারদিনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। ধৃতদের আদালতে তুলে হেফাজতে পেয়ে পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ করে রবিবার রাতে আরও পাঁচজনকে ওই ঘটনায় ধরে। রবিবার যে পাঁচজনকে ধরা হয় তাদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও যাত্রীদের ব্যবহৃত কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়।
এএসপি (গ্রামীণ) বলেন, চলন্ত বাসে লুটপাটের ঘটনায় আমরা এখনও পর্যন্ত আট দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছি। আরও একজনের নাম আমরা পেয়েছি। সে ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। ওর খোঁজ চলছে। ওই মামলায় এখনও পর্যন্ত একটি আগ্নেয়াস্ত্র, তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। কিছু টাকাপয়সাও মিলেছে। ধৃতরা জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলার বাসিন্দা। আমরা ধৃতদের অতীত রিপোর্ট দেখছি।
তদন্তকারী এক অফিসার জানিয়েছেন, ওই দিন দুষ্কৃতী দলটি অন্য একটি বাসে ডাকাতির ছক কষেছিল। তবে সেই বাসে চাপার আগে তারা সেখানে লক্ষ্য করেছিল সিসিটিভি রয়েছে। তাই তারা সেখানে অপারেশন চালায়নি। পরে করিমপুরগামী বাসটিকে টার্গেট করে চাপে। তবে প্রাথমিক উদ্দেশ্য সফল হলেও শেষরক্ষা ওদের হল না। এএসপি তাই বাস মালিকদের উদ্দেশে বলেছেন, যাতে সকলেই যাত্রীদের সুরক্ষার স্বার্থে বাসে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে নেন। এতে একদিকে দুষ্কৃতীরা যেমন অপরাধমূলক কাজকর্ম করতে ভয় পাবে, তেমনি বাসে কোনও যাত্রী তাঁর মূল্যবান সামগ্রী ভুলবশত রেখে গেলে তা সহজেই উদ্ধার করা সম্ভব হবে।