বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, থানার কাছেই একটি পরিত্যক্ত জমিতে ওই গাড়ি দু’টি পার্ক করা ছিল। ওই গাড়ি দু’টির পাশেই আরও কয়েকটি গাড়ি পার্ক করে রাখা ছিল। দুপুরে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসতেই হইচই পড়ে যায়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পুলিস ঘটনাস্থলে চলে আসে। তারা গাড়ি দু’টি বাজেয়াপ্ত করে ঘটনায় তদন্তে নামে। যদিও সন্ধ্যা পর্যন্ত গাড়ি দু’টির মালিকের খোঁজ পাননি প্রধাননগর থানা তদন্তকারী অফিসাররা।
পুলিস ঘটনাস্থল থেকে এদিন যে দু’টি গাড়ির বাজেয়াপ্ত করেছে তার একটি সাদা রঙের, অপরটি মেটাল রঙের। রং আলাদা হলেও দু’টি গাড়ি একই মডেলের। একটি গাড়ি সচল হলেও, অপরটি বিকল হয়ে পড়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা অমিতাভ মিত্র বলেন, জমির মালিক কে আমরা জানি না। বহুদিন ধরেই জমিটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সেখানে নিয়মিত গাড়ি পার্কিং করা হয়। মূলত বহিরাগতরা গাড়ি রাখে। পুলিসকে আমরা আগে অনেকবার জানিয়েছি। গত রবিবারও পুলিস এসে ছবি তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর এদিন একই নম্বর প্লেটের দু’টি গাড়ি উদ্ধার হল। আমাদের মনে হয়, অপরাধমূলক কাজকর্ম করতেই একই নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের এসিপি (ওয়েস্ট) চিন্ময় মিত্তল বলেন, একই নম্বরের এবং একই মডেলের দু’টি গাড়ি উদ্ধার হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
প্রধাননগর থানা থেকে কিছুটা দূরেই ওই জমিটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ফাঁকা জমি থাকায় বহুদিন ধরেই বেআইনিভাবে গাড়ি পার্কিং করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, বহিরাগতরা গাড়ি পার্ক করে চলে যায়। এছাড়াও রাতের অন্ধকারে জমিতে প্রায়ই অসামাজিক কাজকর্ম হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিস গাড়ির নম্বর যাচাই করে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, গাড়ির বিমার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। ওই ঘটনায় তদন্তকারীরা অনেক কিছুই আঁচ করছেন। তদন্তের স্বার্থে প্রকৃত নম্বরটির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।