কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলা সেচ দপ্তরের নির্বাহী বাস্তুকার প্রণবকুমার সামন্ত বলেন, এদিন মহানন্দা নদী বিপদসীমা পার করেছে। জেলার বাকি দু’টি নদীতেও জল বাড়ছে। নিম্নচাপের কারণে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা নদীগুলির উপর নজর রাখছি। জেলার কৃষি দপ্তরের আবহাওয়া বিভাগের আধিকারিক কামাখ্যানাথ বসু বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মালদহে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। তবে দু’এক দিনের মধ্যে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে।
জেলার কৃষি দপ্তরের আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩৯.০৫ মিলিমিটার। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বিবপুর ব্লকে। সেখানে ১১৫.০৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। পুরাতন মালদহে ৬২.০৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ইংলিশবাজারে ৬৪.০৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে পড়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
রবিবার রাত থেকে বৃষ্টির ফলে পুরাতন মালদহ বিডিও অফিস চত্বরে জল ঢুকে যায় সেই রাতেই। যদিও সোমবার সকালে বৃষ্টি কমায় জলও কমতে শুরু করে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের জাতীয় সড়ক লাগোয়া নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল থাকায় তাঁদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। পুরাতন মালদহের যুগ্ম বিডিও রাণাদিত্য বিশ্বাস বলেন, রাতে ব্লক অফিস চত্বরে জল জমে গিয়েছিল। যদিও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। পরে জল নেমে যায়। এলাকায় যাতে জল না জমে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুরাতন মালদহ শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ড মহানন্দা নদী সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। এলাকার বেশ কিছু এলাকায় নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে। সেই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর সফিকুল ইসলাম বলেন, নদীতে জল বেড়ে যাওয়ার কারণে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রায় ৪০টি পরিবার জল বন্দি হয়ে পড়েছে। আমরা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় ত্রাণশিবিরে নিয়ে যাচ্ছি।
শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোমা দাস বলেন, বেহাল নিকাশির জন্য বহু এলাকায় বৃষ্টির জল জমে আছে। গান্ধী কলোনিতে নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল থাকার কারণে সমস্যা বাড়ছে।