গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সেচদপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি জেলায় ২০০০ সালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪০০০ মিমি পার হয়েছিল। বিগত ২০ বছর ধরে জলপাইগুড়িতে এটাই ছিল রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১০ বছরের মধ্যে তিন হাজার মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে ২০০৩ সালে ৩৯১৮ মিমি, ২০১১ সালে পরিমাণ ছিল ৩০৪৭ মিমি, ২০১৩-তে ৩৪৮৭ মিমি, ২০১৪-তে ৩১২৬ মিমি, ২০১৬-তে ৩৩৫০ মিমি, ২০১৮-তে ৩২৭২ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছিল।
জলপাইগুড়ি জেলা সেচদপ্তরের সার্ভেয়ার পিকে দে বলেন, ২০০০ সালের বৃষ্টির রেকর্ড চলতি মরশুমে ইতিমধ্যেই ভেঙে গিয়েছে। এই পরিমাণ আরও বাড়বে। সিকিমের আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, স্বাভাবিক নিয়মে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে বর্ষা বিদায় নেয়। এবার বর্ষা তার আগে বিদায় নেওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। ভারী বৃষ্টির পরিমাণ রবিবার থেকে কমলেও সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির আকাশ মেঘমুক্ত হবে। একদিকে, অত্যধিক বৃষ্টিপাত, সেই সঙ্গে করোনার প্রকোপ। এই দুইয়ের জোড়া ফালায় নিকাশি সমস্যা নিয়ে জেরবার জলপাইগুড়ি পুরসভা কর্তৃপক্ষ। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, রেকর্ড পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে। জলপাইগুড়ির পুরনো রূপ ফিরে এসেছে। সীমিত পরিসরের মধ্যেও পুরসভা নিকাশির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যেসমস্ত এলাকা জলমগ্ন, সেখানে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দিনভর বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তেই বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও শুক্রবার ফের দিনভর হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। ফলে শহরের ইন্দিরা কলোনি, পরেশ মিত্র কলোনি, বয়েলখানা বাজার, অরবিন্দ নগর সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এর জেরে বাসিন্দাদের ভোগান্তি অব্যাহত।