কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
ধৃতরা হল শাহবাজ আলি, জাকির হোসেন ও আয়ুষ্মান লোহার। তাদের বাড়িও সিংহানিয়া চা বাগানে। তাদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত মৃতের বন্ধু শাহবাজ। আলিপুরদুয়ার জেলার পুলিস সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, গাড়ি কেনার টাকা নিয়ে ঝামেলার জেরে বীরপাড়ায় এক যুবককে অপরহণ করে মুক্তিপণ চেয়ে পরে খুন করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের শুক্রবার আদালতে তোলা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহবাজ ও ইন্দরদেব দু’জনেই অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিল। ভাড়া খাটানোর জন্য কিছুদিন আগে দু’জন মিলে একটি ছোট গাড়ি কেনে। গাড়িটি চালাত শাহবাজই। সেই গাড়ি কেনার টাকা নিয়েই দু’জনের মধ্যে অনেকদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইন্দরদেব বীরপাড়া বাজারে যায়। সেসময় মাদারিহাট থেকে ইন্দরদেবকে ডেকে নিয়ে যায় শাহবাজ। তারপর থেকে ইন্দরদেবের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। এরপর বিকেল ৫টা নাগাদ অচেনা একটি নম্বর থেকে ইন্দরদেবের বাড়িতে ফোন আসে। ফোনে জানানো হয়, ইন্দরদেবকে অপহরণ করা হয়েছে। ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। বিষয়টি পুলিসকে জানালে অপহৃতকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ওই ফোন পেয়েই পরিবারের লোকজন আতঙ্কে বীরপাড়া থানার দ্বারস্থ হন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, হুমকি ফোনের কিছুক্ষণ পরে ইন্দরদেবকে জাকির ও আয়ুষ্মানের হেফাজতে রেখে সিংহানিয়া চা বাগানে ফিরে আসে শাহবাজ। অপহৃত পরিবারের লোকজনের যাতে সন্দেহ না হয়, সেজন্য সে তাদের সঙ্গে থানায় যায়। শাহবাজের মধ্যে অস্থিরতা লক্ষ্য করে পুলিসের সন্দেহ হয়। টানা জেরার পর অবশেষে ভেঙে পড়ে শাহবাজ। এরপর সে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেয়। শাহবাজের কথার সূত্র ধরে পুলিস বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা নাগাদ মাদারিহাটের পাশে খয়েরবাড়ির জঙ্গল থেকে ইন্দ্ররদেবের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে। রাতেই পুলিস বাকি দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শুক্রবার ভোর থেকে উত্তেজনা ছড়ায় সিংহানিয়া চা বাগানে। এই খুনের মাস্টার মাইন্ড শাহবাজের বাড়িতে উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফালাকাটা থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। এলাকায় পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে।