বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ভুক্তভোগী বাসিন্দারা বলেন, সম্প্রতি বর্ষায় বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। মোটর বাইক, টোটোর চাকা ফেঁসে যাচ্ছে। ছোটখাট দুর্ঘটনাও ঘটছে। কিন্তু পুরসভা কোনওরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমরা চাই, দ্রুত রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হোক।
পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর তৃণমূল কংগ্রেসের ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, করোনা পরিস্থিতি তৈরি না হলে নতুন রাস্তা তৈরির কাজ এতদিনে শেষ হয়ে যেত। তৃণমূলের তুফানগঞ্জ টাউন ব্লক কমিটির আহ্বায়ক শিবপদ পাল বলেন, আমরা পুরসভায় ক্ষমতায় আসার পর শহরে অনেক উন্নয়নের কাজ হয়েছে। প্রচুর রাস্তাঘাট তৈরি হয়েছে। চারটি নতুন রাস্তা তৈরির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত আর তা হল না। শুনেছি, এবার ওইসব রাস্তা তাপ্পি দেওয়া হবে।
তুফানগঞ্জ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অনন্তকুমার বর্মা বলেন, পুরসভার তহবিলে রাস্তা বানানোর মতো টাকা নেই। নতুন করে রাস্তা তৈরির জন্য রাজ্যে আবেদন পাঠানো হয়েছে। কবে টাকা আসবে জানি না। তাই পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে কিছু খরচ করে ভাঙাচোরা রাস্তা আমরা সারাই করব। আপাতত সেগুলি চলাচলের যোগ্য করে তোলা হবে।
তুফানগঞ্জ পুরসভায় ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে। বর্ষায় বেশকিছু রাস্তাঘাট একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও বিপজ্জনক গর্ত হয়ে আছে। এমন অবস্থায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে পুরসভার বিরুদ্ধে ওয়ার্ডবাসীর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি কাটলে পুরভোট হতে পারে। তাই বাসিন্দাদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ আঁচ করে রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভা, এমনটাই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। পুরভোটের আগেই তুফানগঞ্জ পুরসভা চারটি নতুন পাকা রাস্তা তৈরি করে ওয়ার্ডবাসীকে উপহার দিতে চেয়েছিল। রাস্তাগুলি বানানোর জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি তা থমকে যায়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের হরিধাম মোড় থেকে পিডব্লুডি মোড়, আমতলা মোড় থেকে পানপট্টি, রামহরি মোড় থেকে রায়ডাক নদী সহ আরও একটি রাস্তা পুরসভার একেবারে নতুন করে করার কথা ছিল। প্রতীকী চিত্র