রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, লাগাতার বৃষ্টির ফলে বেশকিছু ওয়ার্ডে জল জমে গিয়েছে। তবে আমরা আমাদের সাধ্যমতো সব ব্যবস্থা করেছি। ইতিমধ্যেই কাউন্সিলারদের কাছে পলিথিন দেওয়া হয়েছে। যদি কারও প্রয়োজন হয় তবে তাঁরা কাউন্সিলারদের থেকে পেয়ে যাবেন। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গা থেকে পাম্পের মাধ্যমে জল বের করার কাজ শুরু করেছি। মানুষের যাতে সমস্যা না হয় সেই ব্যবস্থা করতে আমরা তৎপর রয়েছি।
এবিষয়ে রায়গঞ্জের বাসিন্দা অমিত দাস বলেন, বিভিন্ন রাস্তাঘাট যেমন বিদ্রোহী মোড়, বীরনগর, রবীন্দ্রপল্লি, কাঞ্চনপল্লি সহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তা জলে ডুবে গিয়েছে। ঘরবাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে এধরনের সমস্যা হয়েছে। তবে বাসিন্দারা যথেষ্ট অসুবিধায় রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রায়গঞ্জ সহ উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এই বৃষ্টির জেরে ভেসে গিয়েছে রায়গঞ্জ পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড। পুরসভার আটটি ওয়ার্ডের প্রায় সবকটি রাস্তাই জলে ডুবে গিয়েছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে রায়গঞ্জ শহরের তুলসীতলা, মিলনপাড়া, অশোকপল্লি, রবীন্দ্রপল্লি, শক্তিনগর, রমেন্দ্রপল্লি, উকিলপাড়া সহ বেশ কয়েকটি এলাকা। রাস্তায় জলের কারণে কয়েকশ পরিবার কার্যত গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকেরই বাড়িঘরে জল ঢুকে গিয়েছে। তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বৃষ্টি না কমলে এরপর ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হবে বলে অনেকে জানিয়েছেন।
তবে পুরসভার আধিকারিকদের দাবি, ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে আগে থেকেই আবহাওয়া দপ্তর সতর্ক করেছিল। সেকারণে মানুষের মধ্যে এই মুহূর্তে সেই অর্থে ক্ষোভ খুব না থাকলেও তাঁদের সমস্যা মেটানোর সবরকম প্রচেষ্টা পুরসভার তরফ থেকে করা হচ্ছে। নিকাশি নালার মুখগুলি যাতে বন্ধ হয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে পুরসভার বিশেষ দল কাজ করছে। কোনও জায়গা থেকে খবর এলে পুরসভার কুইক রেসপন্স টিম সেখানে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তৈরি রয়েছে। তাদের আরও দাবি, শহরে ভালো নিকাশি ব্যবস্থা রয়েছে। বৃষ্টি থামলে দু-তিন ঘণ্টার মধ্যেই জল নেমে যাবে। জল নামলেই পুরসভার সাফাই কর্মীরা এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু করবেন। দিনভর বৃষ্টিতে জল জমে রায়গঞ্জ শহরে। -িনজস্ব চিত্র