গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মৃতদের মধ্যে ওই নাবালিকা সহ তার মা ছাড়াও রয়েছেন প্রদীপ দেবনাথ (৪৮) এবং গোবিন্দ সেন (৫০)। মৃত অপরজন পুলিস কনস্টেবল। ঘটনায় আরও তিনজন জখম হন। গাড়ির চালক পলাতক। মা ও মেয়ে ছিলেন শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানার বাঘাযতীন কলোনির বাসিন্দা। পুলিস জানিয়েছে, এদিন সকালে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধারকাজে নামেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘোকসাডাঙা থানার পুলিস আসে। দুর্ঘটনায় পুলিসের সাব ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ দাস, লেডি কনস্টেবল চন্দনা পাল এবং অভিযুক্ত যুবক আহত হন। তাঁদের ঘোকসাডাঙা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে ওই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কোচবিহারের পুলিস সুপার মহম্মদ সানা আখতার, অতিরিক্ত পুলিস সুপার লাল্টু হালদার, ডিএসপি (ট্রাফিক) চন্দন দাস সহ জেলা পুলিসের আধিকারিকরা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা কিছুদিন আগে নিখোঁজ হয়। তার পরিবারের সদস্যরা শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের প্রধাননগর থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে, কোচবিহারের দিনহাটার সাহেবগঞ্জ এলাকায় ওই নাবালিকা রয়েছে। এরপরেই একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা একটি গাড়ি দেয়। সেই গাড়িতেই পুলিস নাবালিকার মা ও এক আত্মীয়কে নিয়ে বুধবার রাতে সাহেবগঞ্জ পৌঁছে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে। সঙ্গে ছিল এক যুবকও। অভিযোগ, সেই যুবকই তাকে নিয়ে পালিয়েছিল। পরে ওই নাবালিকা, অভিযুক্ত যুবককে নিয়ে সাহেবগঞ্জ থেকে সড়ক পথে ফেরার সময়েই ঘটনাটি ঘটে। কোচবিহারের ডিএসপি (ট্রাফিক) বলেন, এক নাবালিকাকে উদ্ধার করতে প্রধাননগর থানার পুলিস ও ওই নাবালিকার মা ও এক আত্মীয় এসেছিলেন। নাবালিকা ও অভিযুক্ত যুবককে সাহেবগঞ্জ এলাকা থেকে নিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। এতেই এক পুলিস কনস্টেবল, নাবালিকা, তার মা ও ওই আত্মীয়ের মৃত্যু হয়। আমাদের দুই কর্মী ও অভিযুক্তের চোট আঘাত লেগেছে। পলাতক গাড়ির চালকের খোঁজ চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। নিজস্ব চিত্র