বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বরাবরই জেলায় নজরকাড়া দুর্গাপুজোর আয়োজন করে গঙ্গারামপুরের নাট্য সংসদ ক্লাব। চোখ ধাঁধানো মণ্ডপ ও তাক লাগানো আলোকসজ্জা দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরাও। এবার অবশ্য পরিস্থিতি আলাদা। করোনা আবহে দুর্গাপুজোর আয়োজনে কাঁটছাট করতে হচ্ছে। তা সত্ত্বেও শহরবাসীকে পুজোর মরশুমে আনন্দ দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন ওই ক্লাবের কর্মকর্তারা। থিমপুজোর আয়োজন করছেন তাঁরা। নাট্য সংসদ ক্লাবের এবছরের থিম ‘দিনাজপুরের ইতিকথায় জমিদারের দুর্গাপুজো’। করোনা পরিস্থিতে সরকারি নিয়ম মেনেই বানানো হবে খোলামেলা মণ্ডপ। থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে থাকবে পুরনো দিনের ঢংয়ে আলোকসজ্জা। জেলার ঐতিহাসিক স্থানগুলি সম্পর্কে নানা জনশ্রুতি মণ্ডপেই দেখানো হবে ভিডিওয়ের মাধ্যমে। গতবছর দর্শনার্থীদের প্রশংসার পাশাপাশি পুরষ্কারও পেয়েছিল এই ক্লাব। এবারও সকলের মন জয় করার লক্ষ্যে উঠেপড়ে লেগেছেন উদ্যোক্তারা।
এখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের দিকে এগলেও সংক্রমণের ভয় পুরোপুরি কাটেনি। এই পরিস্থিতে উদ্যোক্তারা পুজোর দিনগুলিতে ভোগ হিসেবে গোটা ফল দেবেন কাটা ফলের বদলে। অঞ্জলি দেওয়ার সময় প্রতিবছরই ভিড় হয়। জমায়েত এড়াতে তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্লাবের ফেসবুক পেজে অঞ্জলির দৃশ্য লাইভ দেখানো হবে। বাড়িতে বসে দশভূজার ছবি দেখে অঞ্জলি দিতে পারবেন। সবই লাইভ করা হবে। দেখানো হবে সন্ধিপুজোও। তবে তারই মধ্যে কেউ সরাসরি মণ্ডপেই অঞ্জলি দিতে চাইলে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করা হবে। ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা সর্বজিৎ গুহ বলেন, অন্যান্যবার বিগ বাজেটের পুজো করলেও এবার পরিকল্পনায় অনেক কাঁটছাট করা হয়েছে। অল্প বাজেটের মধ্যেই এবারে আমরা থিম করে শহর ও জেলাবাসীকে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করব। এবার আমাদের বাজেট তিন লক্ষ টাকা। গতবার আমরা সেরার সেরা বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান পেয়েছি জেলায়। ভালো পুজো আয়োজনের ধারা ধরে রাখার চেষ্টা করব। পুজোর উদ্বোধনের দিন দিনাজপুরের নানা ঐতিহাসিক স্থানের ভিডিও সম্বলিত সিডি দেওয়া হবে দর্শনার্থীদের। সেজন্য আমরা দশ হাজার সিডি তৈরি করব। এবার থিম ভাবনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দু’হাজার লণ্ঠন দিয়ে মণ্ডপ ও সংলগ্ন এলাকা সাজিয়ে তোলা হবে। যাঁরা ভোগ দেবেন, তাঁরা কাটা ফল ব্যবহার করতে পারবেন না। আমরাও প্রসাদ হিসেবেও গোটা ফল দেব। অষ্টমী ও নবমীতে অনলাইনে অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। বাড়ি বসে অঞ্জলি দিতে পারবেন ভক্তরা। মণ্ডপে সামাজিক দূরত্ব মেনে অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা করব। গঙ্গারামপুর পুরসভার প্রশাসক অমলেন্দু সরকার বলেন, করোনায় মানুষ আর্থিকভাবে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই সময়ে তাঁদের কাছে চাঁদা চাইতে যাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।