রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ধৃত ভূতনির বাসিন্দা সিদ্ধার্থ মণ্ডলও একাধিকবার অপরাধ করে ঝাড়খণ্ডে লুকিয়েছিল বলে পুলিস আধিকারিকরা জানিয়েছেন। মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ভূতনি চরে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো নয়। ফলে প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছতে পুলিসের সমস্যা হয়। ভৌগোলিক দিক থেকে ভূতনির অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণে মাত্র তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ থানা গঠন করা হয়েছে। তবে আগের তুলনায় গত এক বছরে ভূতনিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে।
পুলিস এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু আগে মানিকচক ব্লকের ওই এলাকা জলমগ্ন ছিল। পরবর্তীকালে নদীর বুকে চর জেগে ওঠে। গঙ্গা ও ফুলহর নদীর প্রবাহের মাঝে একাধিক চর নিয়ে ভূতনি গঠিত হয়েছে। ভূতনি থানা এলাকায় হীরানন্দপুর, উত্তর ও দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চাশটিরও বেশি ছোট বড় গ্রাম রয়েছে। ওই এলাকায় ব্যাঙ্কিং সহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি পরিষেবার মান খারাপ। মূল ভূখণ্ডের থেকে আলাদা হওয়ায় ওই এলাকায় কোনও বিপণি সংস্থাও যেতে বিশেষ আগ্রহ দেখায় না। পূর্ববঙ্গ থেকে আসা উদ্বাস্তুদের অনেকেই ওই চরে বাস করেন। তাঁরা চরের মাটিতে ফসল ফলিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। উর্বর ভূতনি চরে একসময় রমরমিয়ে পোস্ত চাষ হতো। পরে পুলিস সক্রিয় হওয়ায় বেআইনি পোস্ত চাষে লাগাম টানা গিয়েছে। কিন্তু দুষ্কৃতীদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি।
জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, ভূতনি থেকে সহজেই ঝাড়খণ্ডে যাওয়া যায়। অপরাধ করার পর নদীপথে ছোট ডিঙি নৌকোয় চেপে দুষ্কৃতীদের অনেকে ওই রাজ্যে চলে যায়। কেউ কেউ আবার নদী সাঁতার দিয়েও পার হয়। ফলে ওই এলাকায় দুষ্কৃতীদের ধরা মোটেই সহজ হয় না। ভূতনি চরের বহু গ্রামে গাড়ি নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। বেশ কিছুটা দূরে গাড়ি রেখে হেঁটে গ্রামে যেতে হয়। ফলে পুলিস যাওয়ার খবর দুষ্কৃতীদের কাছে পৌঁছে যায়। স্বাভাবিকভাবে তারা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। এদিকে পোস্ত চাষ কমায় দুষ্কৃতীদের রোজগারে টান পড়েছে। ফলে তারা মানিকচক এবং আশপাশের এলাকায় চুরি ছিনতাই শুরু করেছে। সবমিলিয়ে ভূতনি চর পুলিসের কাছে বরাবর মাথাব্যাথার কারণ বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত।