কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈষ্ণবনগরের গঙ্গা ভাঙনের ঝুঁকি ও প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনা করতে আগস্ট মাসে একটি বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ব্যারেজ কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু তাঁদের পক্ষ থেকে কেউ না আসায় শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায় ওই বৈঠক। প্রবল ভাঙন শুরু হওয়ার পরে ফের ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষকে এব্যাপারে চিঠি দেয় জেলা প্রশাসন। তারও জবাব মেলেনি বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, আমাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ বৈঠকে আসেননি। ভাঙন সংক্রান্ত চিঠির উত্তরও আমরা পাইনি।
এদিকে আবার জেলা সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকেও ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষকে পৃথকভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে জবাব মেলেনি সেই চিঠিরও। সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণবকুমার সামন্ত বলেন, আমরা ভাঙন প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের চিঠি দিয়েছি। কারণ কালিয়াচক-৩ ব্লকের যেখানে ভাঙন হচ্ছে, সেখানকার ভাঙন তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব ব্যারেজ কর্তৃপক্ষেরই।
জেলা তৃণমূল নেত্রী সুমালা আগরওয়ালা বলেন, ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় আমরা হতাশ। প্রবল ভাঙনে শত শত মানুষ বিপর্যস্ত। রাজ্য সরকার ত্রাণ ও পুনর্বাসনের জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর ওই এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছেন। তিনিও দাবি তুলেছেন, ভাঙন রোধে নিজেদের ভূমিকা পালন করুক ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। ভাঙন প্রতিরোধ নিয়ে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ দ্রুত উদ্যোগী না হলে আন্দোলনের রাস্তায় যাওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।
এবিষয়ে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বারবার ফোন করা হলেও ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের জেনারেল ম্যানেজার শৈবাল ঘোষ তা ধরেননি। লিখিত বার্তারও উত্তর দেননি।
তবে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নির্ধারিত দায়িত্ব ঠিকই পালন করছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালে দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী বলেন, ইতিমধ্যেই ফ্লাই অ্যাশ ও বালি ভর্তি বস্তা ফেলে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় কাজ শুরু হয়েছে ব্যারেজের পক্ষ থেকে। গঙ্গার জলস্তর কমলে ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ বীরনগর-১ পঞ্চায়েতে ভাঙন প্রতিরোধের ভারী কাজও শুরু করবে বলে কেন্দ্রীয় জলশক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী রতনলাল কাটারিয়া আমাকে জানিয়েছেন। পাশাপাশি বৈষ্ণবনগরের বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন সরকার রাত জেগে ভাঙন দুর্গতদের পাশে থাকছেন বলেও দাবি তাঁর।
বিজেপির জেলা সহ সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বৈষ্ণবনগর নিয়ে উদাসীন রাজ্য সরকার। ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষকে ভাঙন নিয়ে বৈঠকে ডাকা হলেও স্থানীয় বিজেপি বিধায়ককে সেই বৈঠকে না ডেকে অপমান করা হয়েছে।