গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এব্যাপারে ইংলিশবাজার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে আমরা রবিবার ২৫ এবং ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে পদযাত্রা করব। সামাজিক দূরত্ব মেনে অনেকে ওই পদযাত্রায় অংশ নেবেন। অন্যান্য বছর শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। কিন্তু এবছর এখনও পর্যন্ত মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব হয়নি। কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হননি। নিকাশি নালাগুলি যাতে পরিষ্কার থাকে তারজন্য প্রাক্তন কাউন্সিলাররা নিজ নিজ ওয়ার্ডে নজর রাখছেন।
প্রসঙ্গত, মশাবাহিত রোগ এর আগেও ইংলিশবাজার শহর সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। ইংলিশবাজার শহর এবং আশপাশের এলাকায় ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়। ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকাগুলিতে প্রতি বছরই বহু মানুষ আক্রান্ত হন। পাশাপাশি ডেঙ্গুর মতো মারণ রোগেও অনেককে আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছে। বিগত দিনে পতঙ্গবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। মশার পাশাপাশি গত বছর স্ক্রাব টাইফাসের উপদ্রব লক্ষ্য করা যায়। ক্ষুদ্র ওই পোকার কামড়ে গৌড়বঙ্গে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তবে ওই পোকার কামড়ে কেউ মারা যায়নি বলে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
পুরসভার অন্তর্গত স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকদের মতে, মশা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বাসিন্দাদেরও যথেষ্ট সচেতন হতে হবে। কোনও পাত্রে জল জমতে দিলে হবে না। পরিষ্কার জমা জলের মশা ডিম পাড়ে। ফুলদানি, ডাবের খোলা, খালি টবে জল জমতে দেওয়া চলবে না। মশার বংশবৃদ্ধি রোধ করা গেলে রোগের প্রকোপ কমবে। মশাবাহিত রোগ নিয়ে সবসময় সচেতন থাকা জরুরি। কারণ প্রতিবছর ওই রোগে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। একবার রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে তা রোখা মুশকিল হবে। বিশেষ করে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে মশাবাহিত রোগ নিয়ে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে। কারণ করোনা নিয়ে প্রশাসন এবং পুরসভা ব্যস্ত রয়েছে। তারমধ্যে মশাবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়লে তার মোকাবিলা করা মুশকিল হবে। হাসপাতালগুলিতে ওই রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকদের মতে, জমা জল ও ঝোঁপঝাড় মশার আঁতুরঘর বলে পরিচিত। বাড়ির আনাচে কানাচে যাতে জল না জমে তা নজর রাখার জন্য সরকারের তরফে সচেতনতাধর্মী প্রচার চালানো হয়। পরিস্কার জমা জলে ডেঙ্গু মশা ডিম পাড়ে। মশার লার্ভা জমা জলে বেড়ে ওঠে। তা থেকে মশাবাহিত রোগ ছড়ায়।
নীহারবাবু আরও বলেন, আমরা শহরের নিকাশি নালাগুলি সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছি। ওই প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে সমস্যা মিটবে। তখন কোথাও জল জমবে না। বর্ষার মরশুম পার হলে মশাবাহিত রোগ নিয়ে চিন্তা দূর হবে।