পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কলেজ সূত্রের খবর, সিনচ্যানের নামে ফর্ম ফিলাপের পর কলেজে স্নাতক স্তরে প্রথমবর্ষে ভর্তির মেধা তালিকায় তাঁর নামও বের হয়। কার্টুন শিল্পী শিলিগুড়ি কলেজে ভর্তি হবে খবর ছড়াতেই হইচই পড়ে যায়। পরে জানা যায়, কেউ তার নাম ব্যবহার করে এসব করেছে। ওই ঘটনার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিসি তদন্ত শুরু হতেই শনিবার আচমকাই সকলেজে হাজির কার্টুন চরিত্রের নাম দিয়ে ফর্ম ফিলআপ করা আসল ছাত্রটি। সে শিলিগুড়ির কলেজের বিসিএ’র প্রথমবর্ষের পড়ুয়া। তার বাড়ি মালদহের সামসিতে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছাত্রটি ক্ষমা চেয়েছে। যদিও কলেজের সুনাম নষ্ট করার দায়ে এই ছাত্রকে শাস্তি দেওয়া হবে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ।
শিলিগুড়ি কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি জয়ন্ত কর বলেন, আমরা চাই না একজন ছাত্রের ভবিষ্যৎ নষ্ট হোক। তবে আমরা আগেই এ ব্যাপারে পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছি। এখন কী করা যায় সেটা অ্যাডমিশন কমিটিতে আলোচনা করে স্থির হবে। তবে ছেলেটি মেধাবী, সে ক্ষমাও চেয়েছে। ওর এমন ছেলেমানুষি কর্মকাণ্ডে কলেজের সুনামে আঁচ পড়েছে। তাই ওকে শাস্তি পেতেই হবে। একজন ছাত্রের সঙ্গে যতটা কঠোর হওয়া দরকার ততটাই আমরা হব। আমাদের মূললক্ষ্য ছেলেটি যাতে ভুল শুধরে আগামী দিনে এমন কর্মকাণ্ড আর না করে। সেক্ষেত্রে ওকে রামকৃষ্ণ মিশন বা কোনও আশ্রমে টানা ১৫ দিন দু’বেলা নিয়ম করে ভজন-কীর্তন, ধ্যান করতে হতে পারে।
ক’বছর ধরেই অনলাইনে কলেজগুলিতে স্নাতক স্তরে ভর্তি চলছে। রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে এবার ভর্তির মেধা তালিকায় নায়ক নায়িকার নাম উঠে আসে। শিলিগুড়ি কলেজেও দেখা যায় মেধা তালিকায় উঠে এসেছিল কার্টুন চরিত্র সিনচ্যানের নাম। তার অভিভাবক হিসেবে নাম ছিল ডোরেমনের। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। কলেজ কর্তৃপক্ষ সিনচ্যানের খোঁজে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানায়। ঘটনার তদন্তে নামেন পুলিস অফিসাররা। বিষয়টি নিয়ে থানা-পুলিস হয়ে যাওয়ায় সিনচ্যান ইমেল করে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চায়। সেটাও থানায় কলেজ জানায়। তদন্তকারীরা অভিযুক্তের খোঁজ পেয়ে যায়। পুলিস আটক করার আগেই ওই ছাত্র ও তার পরিবার কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চায়। এরপরেই পুলিসের তরফে বিষয়টি কলেজকে জানানো হয়। এদিন ছাত্রটি তার বাবা-মা’কে নিয়ে কলেজে আসে। লিখিতভাবে ক্ষমা চায় ছাত্রটি।
অভিযুক্ত ওই ছাত্র বলে, মজার ছলে কার্টুন চরিত্রের নাম দিয়ে ফর্ম ফিলআপ করেছিলাম। এমনটা হবে ভাবতেও পারিনি। এদিন কলেজে এসে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ক্ষমা চেয়েছি। যাতে আমাকে ক্ষমা করা হয় সেই আর্জি জানিয়েছি।