পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রতিদিন এক মেট্রিক টন আলু দেওয়া হবে। ক’দিন ধরেই কোচবিহারের বিভিন্ন বাজারে একাংশ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বেশি দামে আলু বিক্রি করার অভিযোগ উঠছিল। যদি ব্যবসায়ীদের দাবি, বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলেই আলুর দাম বেড়েছে। জেলায় সুফল বাংলার কোনও স্টল বা ভ্রাম্যমান ভ্যান নেই, যেখান থেকে সাধারণ মানুষ সরকারি মূল্যে আলু সহ অন্যান্য সব্জি বা সামগ্রী কিনতে পারবেন। ফলে সাধারণ মানুষকে খোলা বাজারে বিক্রি হওয়া ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরেই আলু কিনতে হচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। এরপর বাজারে পরিদর্শন করে আলুর দাম যাচাই করেন সরকারি আধিকারিকরা। কিন্তু তারপরেও কিছু ক্ষেত্রে দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। সবদিক বিচার করে এবার প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নির্দিষ্ট দামে ব্যবসায়ীরা শনিবার থেকে আলু বিক্রির স্টল চালু করলেন।
কোচবিহারের মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল বলেন, এদিন ভবানীগঞ্জ বাজার ও ডোডেয়ার হাটে আলু বিক্রির জন্য দু’টি স্টল খোলা হল। ব্যবসায়ীরাই স্টল দু’টি চালাবেন। স্থির হয়েছে, ২৭ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির। মহকুমা প্রশাসন, কৃষি বিপণন দপ্তর, হিমঘর মালিক ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় ওই ন্যায্যমূল্যের আলু বিক্রির দোকান দু’টি খোলা হয়েছে।
জেলা কৃষি বিপণন দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর দেবাঞ্জন পালিত বলেন, বাজারে আলু নিয়ে আসা, বহনের খরচ বাবদ দু’টাকা বেশি লাগছে। সেই কারণেই প্রতি কেজি ২৭ টাকা করে দাম ধার্য হয়েছে।
কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চাঁদমোহন সাহা বলেন, হিমঘর মালিকদের সহায়তায় আলু কম দামে কিনে তা ন্যায্যমূল্যের দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে জনসাধারণে সুবিধা হবে।
কোচবিহার শহরের প্রধান বাজার ভবানীগঞ্জ মার্কেট। এছাড়াও শহরে আরও বেশ কয়েকটি বাজার আছে। বাজারগুলির একাংশ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ৩৫-৪০ টাকা দরে আলুর বিক্রির অভিযোগ উঠছিল। বিষয়টি নজরে আসতেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়েছিল। ব্যবসায়ীদের আলুর দামও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও অনেকে তা মানছিল না। প্রশাসনের দাবি, এবার ন্যায্যমূল্যের দোকান খোলায় বহু ক্রেতা সেই স্টল থেকে আলু কিনবেন। বাজারের একজায়গায় ন্যায্যমূল্যে আলু পাওয়া গেলে অন্য জায়গাগুলিতেও দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে। এদিন আলু কিনতে ওই দু’টি দোকানেই ভালো ভিড় হয়। সকলেই সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে আলু কেনেন।