কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গঙ্গারামপুর রেল উন্নয়ন কমিটির অভিযোগ, গঙ্গারামপুরকে বি গ্রেড রেল স্টেশনে উন্নীত করার কাজ অতি নিম্নমানের করেছে ঠিকাদার সংস্থা। প্রস্তাবিত অনেক কাজ না করেই সব কাজ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের উন্নয়ন, পিপি শেড, আয়রন মুক্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা, যাত্রী প্রতীক্ষালয়, ভিআইপি গেস্ট হাউস, ইলেকট্রিক সিগন্যাল রুমের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনও বাকি রয়েছে ওয়াটার রিজার্ভার, পার্কিং স্পেস, নর্দমা, শৌচালয়ের কাজ। রেল কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবেই গঙ্গারামপুর স্টেশনের কাজ সুষ্ঠুভাবে করেনি ঠিকাদার সংস্থা। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই যখন আবার ট্রেন চলবে, তখন আবার একই সমস্যায় পড়বেন যাত্রীরা। এমনটাই অভিযোগ করছেন গঙ্গারামপুর শহরবাসী। রেল উন্নয়ন কমিটি এব্যাপারে অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে একটি চিঠিও দিয়েছে বলে দাবি করেছে। যদিও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার শাখার তরফে জানানো হয়েছে, নিয়ম মেনেই কাজ হয়েছে গঙ্গারামপুরে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম রবীন্দ্র কুমার ভার্মা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী রেল তার কাজ করেছে। আমরা পুজোর আগে কাজ সম্পন্ন করতে চেয়েছিলাম। সেটাই করেছি। বি গ্রেড স্টেশনে উন্নীত করার জন্য শিডিউলে যা যা কাজ ছিল, সেসব করেছে রেল। কোনও নিম্নমানের কাজ হয়নি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার যখন রেল চলাচল করবে তখন যাত্রীরা বি গ্রেড স্টেশনেরই সুবিধে পাবেন।
গঙ্গারামপুর রেল উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক অজয় দাস বলেন, গঙ্গারামপুরকে বি গ্রেড রেল স্টেশন করার কাজ শুরু হওয়ায় আমরা খুব খুশি হয়েছিলাম। আমরা কাজের তদারকি করেছি। রেলকেও সময়ে সময়ে জানিয়েছি কাজের বিষয়ে। একাধিক ক্ষেত্রে নিম্নমানের কাজ হয়েছে। এবিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। আমরা চাই প্রস্তাবিত কাজ শেষ করুক রেল। গঙ্গারামপুর বিধানসভার বিধায়ক গৌতম দাস বলেন, গঙ্গারামপুরের রেল স্টেশনের কাজ খুব দেরিতে শুরু করা হয়েছে। একাধিকবার জিএম ও ডিআরএমকে আমি চিঠি দিয়েছি। রেল উন্নয়ন কমিটি আন্তরিকভাবে রেল পরিষেবা কীভাবে উন্নত করা যায় সেই বিষয়টা দেখছে। তারা যদি অভিযোগ করে যে নিম্নমানের কাজ হয়েছে বা কিছু কাজ বাকি রয়েছে তাহলে সেব্যাপারে আমি রেল কর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।
বালুরঘাটের বিজেপির সংসদ সদস্য সুকান্ত মজুমদার বলেন, রেল উন্নয়ন কমিটি যখন অভিযোগ করছেন তাহলে নিশ্চয় তাদের কাছে তথ্য প্রমাণ রয়েছে। জেলায় রেল অসমাপ্ত কাজ করবে, তা চলবে না। আমি নিজে গঙ্গারামপুর রেল স্টেশনের কাজ খতিয়ে দেখব। যদি কোথাও সমস্যা থাকে তাহলে আমি রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।
প্রসঙ্গত, এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘ কয়েক দশকের দাবি ছিল স্টেশনের পরিকাঠামোর উন্নয়নের। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গারামপুর স্টেশনের মান উন্নয়নের জন্য ১৮ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।