বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সিআইডি তদন্তের গতি ও প্রকৃতি নিয়ে অবশ্য কেউই মুখ খুলতে চাইছেন না। পুলিসও এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। রায়গঞ্জ থানার পুলিস কর্মীদের জেরা করার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সুপার সুমিত কুমার সাফ জানিয়ে দেন, সিআইডি তদন্তের বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে রাজি নই।
পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ঘটনার যে সময় উল্লেখ করা রয়েছে, সেই সময়ে কে কি করছিলেন, তা যাচাই করার জন্যই অভিযুক্ত পুলিস কর্মীদের আলাদা আলাদা জেরা করা হবে। সিআইডি সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা কে কোন সময় কোথায় ছিলেন এবং অনুপ রায়ের মৃত্যুর সময় তাঁদের টাওয়ার লোকেশন কোথায় ছিল, সেসব ব্যাপারেও বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
যদিও সিআইডি তদন্তে খুশি নন বিজেপি। প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় রয়েছেন বিজপেরি স্থানীয় নেতৃত্ব। বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, সিআইডি তদন্তের উপর আমাদের প্রথম থেকেই কোনও ভরসা নেই। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি করেছি। পুলিস ও সিবিআই তো একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ মাত্র।
প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর ইটাহার ব্লকের নন্দনগ্রামের বাসিন্দা অনুপ রায়ের
রহস্যজনক মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় তিনি রায়গঞ্জ থানায় ছিলেন। হাইওয়েতে সক্রিয় দুষ্কৃতীচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে থানায় নিয়ে এসেছিল পুলিস। ঘটনার পর তড়িঘড়ি পুলিস তাঁর ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে। পরে পরিবারকে জানানো হয়। বিজেপি ও অনুপের পরিবারের অভিযোগ, থানায় নিয়ে এসে তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। এব্যাপারে অনুপের মা রায়গঞ্জ থানার পাঁচ জন পুলিস কর্মীর বিরুদ্ধে ইটাহার থানায় অভিযোগও করেন। ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে বিজেপি। এখনও বিজেপি এবং অনুপের পরিবারের তরফ থেকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে যাতে ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হয়। ইতিমধ্যে গত ১১ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকার এই ঘটনার তদন্তের ভার সিআইডি’র হাতে তুলে দেয়। তারপর থেকেই এই ঘটনার সার্বিক তদন্তে নেমেছে সিআইডি। সব দিক খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।