কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বিজেপি মহিলা মোর্চার দাবি, রাজ্যে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এদিন মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। মিছিলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁও হাজির ছিলেন। পুলিস জানিয়েছে, এদিনের মিছিলের কোনও অনুমতিই ছিল না। ওরা আইন না মেনেই মিছিল করেছে। তাই ওদের আটকানো হয়েছিল। বাধা পেয়ে তারা পুলিসকেও মারধর করেছে। সিসি ক্যামেরায় পুরো ছবি ধরা আছে। সেই ফুটেজ দেখেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিসের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন।
পাল্টা অগ্নিমিত্রা পলের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী নারীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। ২১-এর মে মাসে এর জবাব দেব। তাঁর আরও হুমকি, পুলিস সমাজের অংশ। আজ আমাদের উপর লাঠিচার্জ করছে। ছয়মাস বাদে আমাদের সঙ্গেই কাজ করতে হবে।
এদিন কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। পুলিসের অনুমতি ছাড়াই মিছিলের আয়োজন হওয়ায় কড়া পুলিশ ব্যবস্থা ছিল। হাসপাতাল মোড় সহ হাসমিচক পর্যন্ত পাঁচটি ব্যারিকেড বসানো হয়েছিল। মোতায়েন ছিল জল কামানও। যদিও মহিলা মোর্চার মিছিল পুলিসি বাধা উপেক্ষা করেই এগিয়ে চলে। হাসপাতাল মোড়ের সামনে সরকারের বিরুদ্ধে তারস্বরে স্লোগান দিতে থাকে। ক্রমশ উত্তেজনা বাড়তে থাকে। পর পর দুটো পুলিসের ব্যারিকেড তারা ভেঙে ফেলে। পুলিস বাধা দিতেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। সেসময় অফিস যাওয়ার পথে আটকে যায় পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্যর গাড়িও। পুলিস আগেভাগেই মিছিলের যাত্রাপথ ঘিরে পাঁচ জায়গায় নজরবন্দি ক্যামেরা রেখেছিল। মিছিলের ছবি ক্যামেরাবন্দি করে রাখা হয়।
ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা কমার পর সংগঠনের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়।
এদিনের প্রতিবাদ মিছিলকে কটাক্ষ করে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, ওরা সভ্যতার ধার ধারেনা। আইনেরও তোয়াক্কা করে না। বিজেপি বাংলাকে অশান্ত করতে চায়। আমরা তা হতে দেব না। অন্যদিকে, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অশোক ভট্টাচার্য বলেন, মিছিল আটকে ওদের হিরো বানানোর দরকার কী? মানুষ কি জানে না বিজেপি দেশজুড়ে কি করছে? আমি কোনওদিন মুখ্যমন্ত্রীকে বলার সুযোগ পেলে বলব, বিজেপিকে হিরো বানানোর চেষ্টা করবেন না। বিজেপি তো জিরো।
বিজেপির মহিলা মোর্চার ওই ‘বেআইনি’ মিছিলের প্রতিবাদে সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিস কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।