পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পরিবারের দাবি, ওই মহিলা সিভিক দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে সুদীপ্তবাবুকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। স্ত্রীকে ভিভোর্স দিয়ে তাকে বিয়ে করতে হবে, সব সম্পত্তিও লিখে দিতে হবে-এমন চাপও অনবরত দেওয়া হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে ডিউটি থেকে বাড়ি ফিরে দীর্ঘক্ষণ ফোনে সেই মহিলার সঙ্গে সুদীপ্তবাবু ঝগড়া করেন বলে পরিবারের দাবি। তার পরে ঘরে থাকা অনেকগুলি ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে তাঁর স্ত্রী সোমা দাস। পরে তড়িঘড়ি বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এঘটনার পর পরিবারের তরফে সেই মহিলার বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। যদিও পুলিস জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। শুক্রবার ময়নাতদন্ত করে মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ডেপুটি পুলিস সুপার ধীমান মিত্র বলেন, সুদীপ্ত দাসের মৃত্যুর ঘটনায় পুরো পুলিস মহল শোকাহত। তিনি কি কারণে আত্মহত্যা করলেন তা নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পরিবারে তরফে কারও বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি।
মৃত সুদীপ্ত দাসের স্ত্রী সোমা দাস বলেন, এক মহিলা সিভিকের সঙ্গে স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। আমার স্বামীকে মাঝে মধ্যে হুমকি দিয়ে টাকা নিতেন সেই মহিলা। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২ লক্ষ টাকা এভাবে নিয়েছেন। বেশ কিছু দিন ধরে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। এসব নিয়ে স্বামী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু ও যে আত্মহত্যা করবে, তা ভাবতেও পারছি না। ওই মহিলা সিভিকের কড়া শাস্তি দাবি করছি।
মৃত ওসির পরিবারের দাবি, ওই মহিলার সংসারের খরচ চালানোর টাকা দিতেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা করছিলেন সুদীপ্তবাবু। বৃহস্পতিবারও তা নিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বাদানুবাদ হয়। তারপরই ওই ঘটনা ঘটে।