পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর বাড়ি আলিপুরদুয়ার জেলার জটেশ্বরের আলিনগর গ্রামে। কয়েকদিন আগে সে শালকুমার হাট গ্রাম পঞ্চায়েতের সিদাবাড়িতে দাদুর বাড়িতে যায়। পাশেই তার মাসির বাড়িও রয়েছে। অভিযোগ, মাসির বাড়ির কাছ থেকে দুই যুবক বৃহস্পতিবার তাকে তুলে নিয়ে যায়। স্থানীয় এক ব্যক্তি গাড়িতে তোলার সময়ে দেখতে পেয়ে ওই কিশোরীর মেসোমশাইকে খবর দেন। তার মেসোমশাই কয়েকজন পরিচিতকে নিয়ে ওই গাড়ির পিছু ধাওয়া করেন। কিন্তু ধরতে ব্যর্থ হন। রাতে মাথাভাঙার লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের বুড়ি তোর্সার সেতুর পাশ থেকে বাসিন্দারা তাকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিসের হাতে তুলে দেন। যদিও পুলিসের দাবি,মেসোর বাড়ি থেকে ওই কিশোরী দুই বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেড়িয়েছিল। সেই সময় তারা মদ্যপান করে। মেয়েটি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ায় তার বন্ধুরা ভয় পেয়ে যায়। পরে তার মেসোকে খবর দিলে তিনি দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
এব্যাপারে ঘোকসাডাঙা থানার ওসি দেবাশিস রায় বলেন, লতাপাতা এলাকায় সেতুর কাছ থেকে কিশোরীকে উদ্ধারের ঘটনা সামান্য ব্যাপার। মেয়েটি দুই বন্ধুর সঙ্গে মদ্যপান করে অচৈতন্য হয়ে পড়ে। ওই ছেলেরা মেয়েটির মেসোমশাইকে খবর দিয়েছিল তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। স্থানীয়রা এবং মেয়েটির মেসোমশাই দলবল নিয়ে আসায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ধর্ষণের কোনও ঘটনা হয়নি। এদিকে, আশ্চার্যজনক ভাবে এদিন ওই কিশোরীর পরিবারের লোকজন এনিয়ে আর কিছুই বলতে চাননি। ১৬ বছরের ওই কিশোরী জটেশ্বরের স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।