বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তার দু’ধারে পথবাতিগুলি খারাপ হয়ে রয়েছে। ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের বেশিরভাগই দীর্ঘদিন ধরে অকেজো। কোথাও আবার এলইডি লাইট খারাপ। বেশ কিছু জায়গায় উচ্চবাতি স্তম্ভের লাইট খারাপ হয়ে রয়েছে। ফলে সন্ধ্যা নামতেই এলাকা অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। এতে চুরি, ছিনতাইয়ের আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে, অন্ধকারের সুযোগে শহরের কয়েকটি জায়গায় মদ, গাঁজার আসর বসছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যেও ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এনিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও সুর চড়াতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজোর আগে শহরকে আলোকমালায় সাজিয়ে তুলতে যৌথভাবে উদ্যোগী জলপাইগুড়ি পুরসভা ও এসজেডিএ।
জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল বলেন, করোনার জন্য কাজ এতদিন কিছুটা থমকে ছিল। এই শহরকে আমরা আলোয় সাজিয়েছি। কোথাও কোথাও এলইডি লাইট খারাপ হয়ে রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই নতুন এলইডি লাইটের ব্যবস্থা করেছি। বৃষ্টির জন্য এই কয়েকদিন একটু সমস্যা হচ্ছে। আমরা দিন কয়েকের মধ্যে যে সমস্ত জায়গায় এলইডি লাইট খারাপ, সেগুলি সারিয়ে আলো ঝলমলে শহর উপহার দেব।
শুধু এলইডি লাইট নয়, সেইসঙ্গে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভগুলিও বেহাল। কোথাও বাতিস্তম্ভ ভেঙে পড়েছে। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড বা এসজেডিএ'র উদ্যোগে সেই ত্রিফলা বাতিস্তম্ভগুলি মেরামতের কাজ শ্রীঘ্রই শুরু হবে বলে জানিয়েছে এসজেডিএ। সংস্থার চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মন বলেন, জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ত্রিফলার যে বাতিস্তম্ভগুলি খারাপ হয়ে রয়েছে, আমরা পুজোর আগেই সেগুলি সারিয়ে তুলব। যদিও পুরসভার ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর কংগ্রেসের অম্লান মুন্সি বলেন, শহরে পর্যাপ্ত বাতির ব্যবস্থা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু অধিকাংশই জ্বলে না। এলইডি’র বরাত নিয়ে অনিয়ম হয়েছে। তাই রক্ষণাবেক্ষণ হয় না।