কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেঁড়া লুঙ্গি ও গেঞ্জির ছেঁড়া অংশ দিয়ে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ঝুলছিলেন ওই ব্যক্তি। এদিন সকালে এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এর পর ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সম্প্রতি হবিবপুরের শ্রীরামপুরের একটি জঙ্গল থেকে এক তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার করা হয়। এর পর কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই ফের অন্য জায়গা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় অস্বস্তিতে পুলিস।
হবিবপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতের পরিচয় মেলেনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আকতৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির গায়ত্রী বর্মন বলেন, সকালে পঞ্চায়েত অফিসের কমিউনিটি হলের নীচে দোকানঘর থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে ঘটনা কী ঘটেছে, সে বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। খুন না আত্মহত্যা, তা তদন্তের ব্যাপার।
এবিষয়ে হবিবপুরের বিধায়ক বিজেপির জোয়াল মুর্মু বলেন, পঞ্চায়েত অফিসের সামনে এ ধরনের ঘটনা ঘটে গেল, অথচ কারও নজরে এল না। এটা কী করে সম্ভব? বিভিন্ন এলাকায় পুলিসের নজরদারি থাকে। সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও টহল দেওয়ার কথা। তা সত্ত্বেও যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে হবিবপুরে। পুলিস সঠিকভাবে তদন্ত করুক।
মালদহের পুলিস সুপার অলক রাজোরিয়া বলেন, ওই এলাকা থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কী ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না এলে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।
এদিন সকালে হবিবপুর-নালাগোলা রাজ্য সড়কের উপর পঞ্চায়েত অফিসের পাশে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তির দেহ ঝুলতে দেখা যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় পুলিসের নজরদারি থাকে। বিভিন্ন মোড়ে নৈশপ্রহরীর পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন থাকে। তা সত্ত্বেও এ ধরনের ঘটনা কারও নজরে আসেনি কেন? ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে বলে এলাকাবাসীরা দাবি করলেও মৃতের পরিচয় না মেলা পর্যন্ত ধোঁয়াশায় পুলিসও।