পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন সকাল সকাল তাদেরকে মুর্তি নদীতে ভালো করে স্নান করান হয়। এরপর তাদেরকে রং বেরংয়ের চক দিয়ে সাজানো হয়। গায়ে প্রতিটি হাতির নাম লিখে দেওয়া হয়। তাদের পুজো মণ্ডপে নিয়ে আসা হয়। শঙ্খ বাজিয়ে উলুধ্বনি দিয়ে তাদেরকে বরণ করা হয়। পুরোহিত নিয়ম রীতি মেনে মন্ত্র উচ্চারণ করে পুজো করেন। পুজো শেষে হাতিদের ভালো খাবার খেতে দেওয়া হয়। পর্যটকরাও কলা, আপেল সহ অনান্য ফলমুল হাতিদের নিজেদের হাতে খাইয়ে দেন। শেষে গ্রামবাসী ও পর্যটকরা একসঙ্গে বসে পাত পেড়ে খাওয়াদাওয়া করেন। ইকো পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গাছবাড়ি খোলা থাকায় এখানে এদিন পর্যটকরা আসেন। সব মিলিয়ে ডুয়ার্সে বেড়াতে এসে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সকলে মিলে হাতি পুজোতেই মেতে ওঠেন।
কলকাতার দুই পর্যটক বাবুল রায় চৌধুরী ও মানবেন্দ্র দে সরকার বলেন, গত বছরও আমরা এখানে হাতি পুজো দেখে গিয়েছিলাম। তাই আমরা তিন দিন হল ধূপঝোরারই এক রিসর্টে উঠেছি। হাতি পুজোয় অংশ নিতে খুব ভোরে গাছবাড়িতে চলে এসেছি।
প্রসঙ্গত, ১০ বছর ধরে গাছবাড়িতে হাতি পুজো হয়ে আসছে। একসময় নমো নমো করে এই পুজো করা হতো। কিন্তু যতদিন গিয়েছে তত এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি রিসর্টের সংখ্যা বেড়েছে। পর্যটকদের কাছে দিনে দিনে এই পুজো জনপ্রিয় হয়েছে। এখন অনেক পর্যটক এই পুজোয় অংশ নিতে আগেভাগেই চলে আসেন। সেকারনে বনদপ্তরও এখানে ঘটা করে হাতি পুজোর আয়োজন করে। এই পুজোতে এখন ভুড়ি ভোজের আয়োজনও করা হয়। এদিন খাবারের মেনুতে ছিল খিচুড়ি, পাঁপড় ভাজা, বেশ কয়েকটি সব্জি মিলিয়ে একটি তরকারি ও দুই-তিন রকমের মিষ্টি। মাঠে বসেই পর্যটকরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে বসে খান। এদিকে পুজোর আগে হাতিদের সাজানো থেকে স্নান করানো সবই করেন প্রধান মাহুত আনোয়ার হোসেন। অন্যান্যদিন হাতিদের দিয়ে জঙ্গলে নানা কাজ করান হয়। তবে এদিন ছয়টি হাতিকেই সবেতন ছুটি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বনদপ্তর।