পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এবিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিস জেলার এসপি সুমিত কুমার বলেন, মাদকের কারবার রুখতে আমরা লাগাতার অভিযান চালাই। তার পাশাপাশি একাধিক সামাজিক প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘুরে ঘুরে এই বিষয়ে পড়ুয়াদের সচেতন করার চেষ্টা চালাই। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলানোর কাজটাও আমাদের করতে হয়। সেই দায়িত্ব সামলেই প্রচার করতে হয়। এক্ষেত্রে আরও বেশি করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা যদি এগিয়ে আসেন তবে সুবিধা হয়।
মঙ্গলবার রাতে নেশার টাকা নিয়ে বচসার জেরে রায়গঞ্জ শহরের কসবা এলাকায় এক যুবককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, জখম যুবক নিজেও আগে মাদকাসক্ত ছিল। সেসময়ই তার সঙ্গে হামলাকারীর পরিচয় হয়। সেই যুবককে আবার তিনি কিছু টাকা ধার দিয়েছিলেন। সেই টাকায় মাদক কেনা হয়। টাকা ফেরত চাইতে গেলেই বিবাদ, তার জেরেই কোপ। এটি কিন্তু কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এধরনের ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটছে রায়গঞ্জ থানার অধীনে থাকা এলাকায়। সম্প্রতি একই ধরনের একটি ঘটনা রায়গঞ্জ থানার অন্তর্গত পিপলান এলাকায় ঘটে। যেখানে বন্ধুকে নেশার টাকা না দিতে পারার কারণে গুলি খেতে হয়েছিল এক কিশোরকে।
বারবার এমন ঘটনা ঘটতে থাকার পর বাসিন্দাদের দাবি, মাদক সেবনের ফলে কি কি সমস্যা হতে পারে, সে সম্পর্কে প্রচার স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার চালানো হোক। ছাত্রছাত্রী ও তরুণ প্রজন্মেরদের মধ্যে এবিষয়ে সচেতনতা বাড়লে মাদক সেবনের অভ্যাস কমবে। আবার মাদকের নেশায় যে অপরাধপ্রবণতা বাড়ে, তাতেও রাশ টানা যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে রায়গঞ্জ শহর এবং সংলগ্ন গ্রামীণ এলাকায় মাদক সেবন থেকে বিরত থাকার জন্য প্রচার চালিয়েছি। তবে এক্ষেত্রে পুলিস প্রশাসনের আরও বেশি সহযোগিতা কাম্য। তাদের সাহায্য ছাড়া এই ধরনের প্রচার চালানো কোনওভাবেই সম্ভব নয়।
শহরের বাসিন্দা অমিত দাস বলেন, আমরা পুলিস, প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির কাছে আবেদন করতে চাই যেন তারা আমাদের যুবসমাজ এবং ছাত্রসমাজের মধ্যে লাগাতার মাদক বিরোধী প্রচার চালিয়ে যান। এই ধরনের প্রচার করা হলে অনেকেরই সচেতন হয়ে এই ধরনের নেশার কবল থেকে বেরিয়ে আসতে সুবিধা হবে।