গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রায় ৬-৭ লক্ষ মানুষের বাস শিলিগুড়ি শহরে। এমনিতেই করোনার আবহে মানুষের অর্থনৈতিক হাল খুব খারাপ। তার উপর প্রতিদিনের হেঁশেলে আলু একটা প্রধান সব্জি। যে হারে আলুর দাম বাড়ছে, তাতে আলুভাতে খাবার দিনও শেষ হতে চলেছে বলে আশঙ্কা শহরবাসীর। হাকিমপাড়া, দেশবন্ধুপাড়ার বস্তিবাসীদের বক্তব্য, বাজারে আলু ছুঁতে পারছি না। জ্যোতি আলুর দামও ৩৫ টাকা। স্বভাবতই, শহরের মধ্যে স্থায়ী স্টল না থাকায় সরকারের নায্যমূল্যের সব্জির দোকানে কম দামে আলু কেনার সুযোগ পাচ্ছেন না তাঁরা।
সুফল বাংলাকে স্টলের জায়গা না দেওয়ার বিষয়ে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তাপস সরকার বলেন, ওরা অসত্য বলছে। আমাদের কাছে জায়গা চেয়েছিল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের কাছে একটা জায়গা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলাম। পরে আর যোগাযোগ করেনি কেউ। শুনেছিলাম, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পছন্দ নয় ওই জায়গা। শিলিগিুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্য সরকারের, এসজেডিএ’র অনেক জমি পড়ে আছে, মার্কেট রয়েছে সেখানে করুক। আমরা কেন দেব? এটা কি আমাদের দায়িত্ব নাকি?
এদিকে, শিলিগিুড়ির বৃহত্তর খুচরো ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নান্টু পাল বলেন, সাই ছেড়ে দেওয়ার পরে স্টেডিয়ামে বেশ কয়েকটি ঘর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, সেখানেও সুফল বাংলার স্থায়ী স্টল করা যেতে পারে। ওই এলাকাতেই এখন অস্থায়ী সব্জিবাজার বসে। এব্যাপারে স্টেডিয়াম কমিটির সভাপতি, শিলিগুড়ির এসডিওর কাছে প্রস্তাব পাঠাতে হবে বলে জানান তিনি। নিজেও তিনি একইসঙ্গে স্টেডিয়াম কমিটি এবং এসজেডিএ’র ভাইস চেয়ারম্যান।
কৃষি বিপণন দপ্তরের আধিকারিক বলেছেন, আমরা শিলিগিুড়ি শহরের ভিতরে জায়গা খুঁজছিলাম। স্টেডিয়ামে হলে শহরবাসীর সুবিধা হবে। তবে খুব শীঘ্র শিলিগুড়িতে মোবাইল ভ্যানের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।