পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার জন্য বর্তমানে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিই একমাত্র উপায়। কারণ বাজারে এখনও ভ্যাকসিন আসেনি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য চিকিৎসকরা প্রতিদিন একটি করে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাই অনেকেই সিদ্ধ ডিম খাওয়ার দিকে ঝুঁকেছেন। চাহিদা বাড়তেই ডিমের দাম বেড়ে গিয়েছে। একাংশ অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ বুঝে বাজারে ডিমের সঙ্কট তৈরি করছেন। যার ফলেই ডিমের দাম বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি বাসিন্দাদের।
মহকুমা প্রশাসন অবশ্য ডিমের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার কথা জানিয়েছে। তুফানগঞ্জ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অনন্তকুমার বর্মা বলেন, কী কারণে ডিমের দাম বাড়ল তা নিয়ে খোঁজখবর নেব।
পরিবহণের খরচ বৃদ্ধির জন্য বাধ্য হয়ে দাম বাড়াতে হয়েছে বলে ডিম ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে একদিকে রোজগার নেই। তার উপর সব জিনিসের দাম এভাবে বাড়তে থাকায় গরিব মানুষরা খুব বেশি সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। তুফানগঞ্জ শহরে ডিম ব্যবসায়ীদের আলাদা কোনও সংগঠন নেই। তাঁরা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির অধীনেই রয়েছেন। তুফানগঞ্জ মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিত্যেন্দ্রচন্দ্র দে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি ডিম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। বর্তমানে ডিমের চাহিদা বেড়েছে। বাইরে থেকে আনতে হয়। পরিবহণ খরচ বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীরা ডিমের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন।
দাম বৃদ্ধির কারণে খুচরো ব্যবসায়ীরাও পাইকারদের কাছ থেকে কম ডিম কিনছেন। কোনও কোনও মুদির দোকানদার একটি ডিম সাত টাকা করে দাম নিচ্ছে বলে অভিযোগ।
তুফানগঞ্জ শহরের খুচরো ডিম বিক্রেতারা বলেন, দাম বেশি দিয়ে আমাদের পাইকারদের কাছ থেকে কিনতে হচ্ছে। পাইকারি ডিম বিক্রেতারা বলেন, আমাদেরও দাম বেশি দিয়ে ডিমের পেটি কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দাম দিয়ে আমরা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। ডিমের প্রতিটি পেটির মধ্যে সাতটি করে ক্রেট থাকে। প্রতিটি ক্রেটে ৩০টি ডিম থাকে। আগে ডিমের প্রতি ক্রেটের দাম ছিল ১৩০ টাকা। ক্রেট প্রতি ৩০ টাকা করে দাম বেড়ে গিয়েছে।