পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বনবিভাগের কার্শিয়াং বিভাগের ডিএফও জে শেখ ফরিদ বলেন, হাতি ও মানুষের সঙ্ঘাত কমাতে ইতিমধ্যেই আমরা জোরদার প্রচার শুরু করেছি। বনকর্মীরা গ্রামে গিয়ে মাইকিং করছেন, লিফলেট বিতরণ করেছেন। পাশাপাশি হাতি লোকালয়ে চলে এলে বাজি, পটকার পরিবর্তে আমরা পিভিসি পাইপগান ব্যবহার শুরু করেছি। এর ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ নয়। এতে সাফল্য মিলছে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে এই প্রথম পটকার পরিবর্তে তীক্ষ্ম শব্দের জন্য পিভিসি পাইপগান ব্যবহার করা হচ্ছে। পাঁচ গ্রাম ক্যালসিয়াম কার্বাইড ও পাঁচ মিলিলিটার জলের মিশ্রণ প্রায় ১৫ সেকেন্ড ঝাঁকানোর পর পাইপগানে দিলে তা গ্যাস লাইটার হিসেবে কাজ করে। এরপর ট্রিগারে আঙুল দিয়ে টানতেই সেটি জোরে শব্দ করে বেরিয়ে আসে। এটির খরচ খুব কম এবং এটি চালানোরও ঝুঁকি সেই অর্থে নেই। কিছু স্থানীয়ভাবে হাতে তৈরি করা হয়েছে। কিছু বাইরে থেকে কিনে আনা হয়েছে। এতে বন্যপ্রাণীর শরীরে আঘাত লাগছে না। বাজি, পটকা হাতেই ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু অনেকটা দূর থেকে পিভিসি পাইপগান ব্যবহার করা যাচ্ছে।
বনদপ্তর জনিয়েছে, চলতি বছর কার্শিয়াং ডিভিশনে এখনও পর্যন্ত হাতির হামলায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র বামনপোখরি রেঞ্জেই তিনজন মারা যান। ২০১৫ সালে নকশালবাড়ি ব্লক সংলগ্ন ভারত-নেপাল সীমান্তে প্রায় ১৮ কিমি এলাকায় নেপাল সরকার বিদ্যুতের ফেন্সিং দেওয়ার পর হাতির দল সেদিকে যেতে পারছে না। এজন্য পানিঘাটা, টুকরিয়াঝাড়, বাগডোগরা রেঞ্জে হাতি-মানুষের সঙ্ঘাত ক্রমশ বেড়ে চলছে। অন্যদিকে, বামনপোখরি রেঞ্জের রোহিণীতে বনাঞ্চলের বাইরে সেনা নির্মাণ কাজ শুরু করায় হাতির করিডর পরিবর্তন হয়েছে। এ জন্য গত তিনবছরে হাতির হামলায় প্রায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাতির তাণ্ডবে মানুষের মৃত্যু, জখম হওয়া, ঘরবাড়ি ভাঙা, ফসলের ক্ষতির জন্য গতবছর প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে বনবিভাগ। চলতি বছরে ৩৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, হাতি তাড়াতে বাগডোগরা ও টুকরিয়াঝাড় রেঞ্জে ১২টিম করা হয়েছে। প্রত্যেক দলের লিডারকে ওয়াকিটকি দেওয়া হয়েছে। বনবিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, কার্শিয়াং ডিভিশনে বর্তমানে ১৫০টি হাতি আছে। এর অধিকাংশ বাগডোগরা বনাঞ্চলে। ডিএফও জানিয়েছেন, হাতি যেসব এলাকায় আসে, সেখানে বিকেল ৫টা থেকে পরের দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত ঘোরাফেরা বন্ধ করতে হবে। বাড়িতে হাড়িয়া রাখা যাবে না। কোনও পচা খাবার এদিকে ওদিকে ফেলা বন্ধ করতে হবে।