কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
প্রার্থী হিসাবে এই চার জনের সাংগঠনিক দক্ষতা, সামাজিক যোগাযোগ ও এলাকার সব মহলে গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে চর্চা চলছে। তৃণমূল ও বাম-কংগ্রেস জোটও তাকিয়ে আছে বিজেপি শেষ পর্যন্ত এই চার জনের মধ্যে থেকেই কাউকে প্রার্থী করবে না এর বাইরে অন্য কাউকে? প্রবীণ হেমন্তবাবু ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে ফালাকাটায় দাঁড়িয়ে হেরে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, নব্যদের ভিড়ে দল দীর্ঘদিন ধরে সর্বস্ব দেওয়া এই প্রবীণ নেতাকে যোগ্য সম্মান দেয়নি। শোনা যাচ্ছে এখন উপনির্বাচনের দিকে তাকিয়ে দল হেমন্তবাবুকে আবার মর্যাদা দিতে শুরু করেছে। সেজন্য দলের আদি কর্মীরা ফের হেমন্তবাবুকে প্রার্থী হিসাবে আর একটা সুযোগ দেওয়ার জন্য আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে। যদিও হেমন্তবাবুর সাফ জবাব, আমাকে প্রার্থী চেয়ে কে আওয়াজ দিচ্ছে জানি না। দল যাকে প্রার্থী করবে সবাইকে কিন্তু তা মেনে নিতে হবে।
দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক আদতে কোচবিহার জেলার বাসিন্দা। তিনি ফালাকাটার দেওগাঁ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। চাকরি সূত্রে বর্তমানে তিনি ফালাকাটায় বাড়ি করেছেন। তিনি কোচবিহারের বাসিন্দা। তাই কট্টর আরএসএস কর্মী দীপকবাবু প্রার্থী হলে বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে বহিরাগত তকমা দিয়ে প্রচার চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁর অনুগামীরা। তাছাড়া, বুদ্ধিজীবী মহলে যোগাযোগ থাকলেও নীচুতলায় সাধারণের মধ্যে দীপকবাবুর যোগাযোগেও ঘাটতি আছে অনেকে মনে করছেন। যদিও দীপকবাবু বলেন, ইদানিং রাজনীতিতে বহিরাগত তকমার অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও বারাণসী কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন। তাছাড়া উপনির্বাচনে কে প্রার্থী হবেন আমাদের দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বই তা ঠিক করে।
রণজিৎবাবু ২০১৭ সালে সিপিএম ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। তিনি সিপিএমের জোনাল কমিটির সদস্য ছিলেন। ফলে আদি রামভক্তরা প্রার্থী হিসাবে নব্য কাউকে প্রার্থী হিসাবে নাও মেনে নিতে পারে বলেও পদ্মফুল শিবিরের নীচুতলায় বলাবলি শুরু হয়েছে। রণজিৎবাবুর অনুগামীরা অবশ্য যুক্তি দিচ্ছেন, তিনি প্রার্থী হলে বামের ভোট রামের বাক্সে আসবে। যদিও রণজিৎবাবু বলেন, প্রার্থী কে হবে দলই তা ঠিক করবে।
আর নারায়ণবাবু নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে দাঁড়িয়ে তিনিও হেরে গিয়েছিলেন। ফলে হেরো প্রার্থীকে ফের প্রার্থী হিসাবে দলের কর্মী-সমর্থকরা মেনে নেবেন কিনা তা নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের নীচুতলায়। সব মিলিয়ে এই চার জনের মধ্যে কাউকে প্রার্থী করা হলে বিজেপি শিবিরের ল্যাজেগোবরে অবস্থা হতে পারে। যদিও দলের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, প্রার্থী পদের দাবিদার যে কেউ হতে পারে। কিন্তু চূড়ান্ত প্রার্থী ঠিক করবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।