গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
করোনা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে লকডাউন লাগু হওয়ার আগে স্থানীয় তহবাজারেই বসত সেই পাইকারি বাজার। লকডাউনের সময় সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখার জন্য ঘিঞ্জি তহবাজার থেকে সেই বাজার সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আন্দোলন সেতু সংলগ্ন এলাকায়। পরে লকডাউন উঠলেও আর পুরনো জায়গায় ফিরতে চাইছেন না ব্যবসায়ীরা।
যদিও মঙ্গলবার সকালে সব্জি বাজারে অভিযান চালিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ী ও কৃষকদের উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিস। সেইমতো বুধবার সকালে পাইকারি বাজার কিন্তু ফের তহবাজারের ফিরে যায়। তবে তহবাজারে ফের বসার পর ব্যবসায়ীদের মালুম হয় এত ঘিঞ্জি বাজারে বসতে সমস্যা হবে। পরে প্রায় ৩০-৩৫ জন ব্যবসায়ী একত্রিত হয়ে বালুরঘাট থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরে ব্যবসায়ীদের দাবি,তাঁদের আবার আন্দোলন সেতুর কাছেই বসার অনুমতি দিয়েছে পুলিস।
পাইকারি ব্যবসায়ী বাবলু মাহাতো বলেন, মঙ্গলাবার পুলিস গিয়ে আমাদের জোর করে তুলে দিয়েছিল। এদিন তহবাজারে বাজার বসাতে গিয়ে খুব সমস্যা হয়। তখন আমরা সকলে বালুরঘাট থানায় যাই। পুলিস আমাদের আবার সেতু সংলগ্ন এলাকাতেই বসতে বলেছে। তাই বৃহস্পতিবার থেকে সেখানেই বসব।
সদর মহকুমা শাসক বিশ্বরঞ্জন মুখ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, করোনার সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেই কারণে পাইকারি বাজারটি আন্দোলন সেতু এলাকার রাস্তাতে বসত। কিন্তু খবর পেয়েছি যে, সেখানে বাজারের নামে রাস্তা দখল হয়ে যাচ্ছে। এবিষয়টিকে একদম প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। পুলিসের সঙ্গে কথা বলেছি। কিছুদিন সময় দেওয়া হয়েছে। তারপর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এবিষয়ে ডিএসপি হেডকোয়ার্টার ধীমান মিত্র বলেন, থানা থেকে কি অনুমতি দিয়েছে জানি না। কিন্তু মহকুমা শাসকের নির্দেশ মতো কাজ হবে। ওই এলাকায় যাতে ভিড় না হয়, সেজন্য অভিযান চালানো হবে।
বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক হরেরাম সাহা বলেন, পাইকারি বাজারের জন্য প্রশাসনের তরফে একটি নির্দিষ্ট জায়গা দেওয়া উচিত। এদিকে ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে পড়ে পুলিসও কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। আগাম কিছু না জানিয়ে জোর করে ব্যবসায়ীদের উঠিয়ে দেওয়া ঠিক না। এতজন কৃষক মালপত্র নিয়ে হঠাৎ করে কোথায় যাবেন? তাঁদের সমস্যার বিষয়টা প্রশাসনকেই দেখতে হবে।