বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
তবে ওই প্রায় ২৫০ জনের ডিজিটাল কার্ড নিয়ে ঠিক কি সমস্যা হয়েছে তা নিয়ে আবার ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় রেশন ডিলারদের দাবি, তাঁদের কার্ডের তথ্য অনলাইনে দেখাচ্ছে না। অর্থাৎ, কার্ড নট ফাউন্ড বলছে। আবার খাদ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, সমস্যাটি ভলান্টিয়ারি সাবমিশনের। অর্থাৎ, ওই বাসিন্দারা নাকি জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁদের আর রেশনের সামগ্রীর প্রয়োজন নেই। এদিকে সমস্যায় পড়া সেই বাসিন্দাদের দাবি, সমস্যা যা-ই হোক, দ্রুত তাঁদের রেশনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানের ৪৬টি পরিবারের ডিজিটাল রেশন কার্ড আছে। ২০১৫ সাল থেকে আমরা এই কার্ডেই রেশনের সামগ্রী পেয়ে আসছি। কিন্তু ২০২০ সালের মার্চ মাসে আমাদের সামগ্রী দেওয়া বন্ধ করে দেয়। সেসময় রেশন ডিলার আমাদের জানায় যে কার্ড নাকি ‘নট ফাউন্ড’ দেখাচ্ছে। তাই সামগ্রী দেওয়া হবে না। এর পরে দপ্তরের অফিসাররা এলাকায় আসেন এবং ডিলারকে ওই কার্ডেই সামগ্রী দিতে বলেন। এপ্রিল, মে ও জুন মাসে রেশনের সামগ্রী আমরা পেয়েছি। এরপরে আবার জুলাই মাস থেকে আমাদের রেশনের সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় বাসীন্দা আসরাফুল হক বলেন, আধার লিঙ্ক করার জন্য ডিলার কাগজপত্র চেয়েছিল। আমরা তা দিয়েছিলাম। তার কিছুদিন পর থেকেই সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা এর সঠিক তদন্ত চাই।
স্থানীয় রেশন ডিলার আজিজুর রহমান বলেন, ২৪০টি কার্ড অনলাইনে ‘নট ফাউন্ড’ দেখাচ্ছে। অর্থাৎ, আনলাইনে এই কার্ডের তথ্য দেখাচ্ছে না। কিন্তু যাঁদের কার্ড নট ফাউন্ড হয়েছে তাঁদেরও রেশনের সামগ্রী দিয়েছি। রেশন না দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। ডিজটাল কার্ডে আধার লিঙ্ক করার জন্য কার্ড নট ফাউন্ড হয়নি। যাঁদের সমস্যা তাঁদের একটি আলাদা রেজিস্টার তৈরি করে দপ্তরের ইন্সপেক্টরের অফিসে জমা দিয়েছি, যাতে তাঁরা সামগ্রী পান।
খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের ইসলামপুর মহকুমার কন্ট্রোলার তারিক আনওয়ার চৌধুরী বলেন, তাঁদের কার্ড নট ফাউন্ড হয়নি। হয়েছে ভলেন্টিয়ারি সাবমিশন। কেউ যদি রেশন সামগ্রী নিতে না চায়, কিন্তু রেশন কার্ড পরিচয়পত্র হিসেবে রাখতে চায়, সেজন্য ১০ নম্বর ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হয়। ওই গ্রাহকদের ক্ষেত্রে এমনটাই হয়েছে। এর জন্য আধার নম্বর প্রয়োজন হয়। ভলেন্টিয়ারি সবমিশনের সময় মোবাইলে ওটিপিও আসে। তারপরেও হয়তো ভুল করে তাঁরা এটা করে ফেলেছেন। গোটা বিষয়টি আমি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।
এদিকে বিপাকে পড়া বাসিন্দাদের দাবি, তাঁরা প্রতেক্যেই দরিদ্র। রেশন তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয়। অনলাইনে তাঁরা এধরনের কোনও ফর্ম পূরণ করেননি বলে দাবি করেছেন।