পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজার শহর বলে পরিচিত কোচবিহার শহরের নিকাশি ব্যবস্থা একেবারে বেহাল বলেই এমন পরিস্থিতি, দাবি বিরোধীদের। যদিও পুরসভার দাবি, তোর্সা নদীর সঙ্গে শহরের নিকাশি নালার সংযোগ রক্ষাকারী স্লুইস গেটগুলি বন্ধ। তোর্সায় জল বাড়ায় সেসব খোলা যাচ্ছে না। সেই কারণে শহরের জল বেরতে পারেনি। এদিকে, একনাগারে বৃষ্টির কারণে জেলার মানসাই, রায়ডাক-১ ও তোর্সা নদীতে জল বেড়েছে। এদিন দুপুরে মাথাভাঙার মানসাই নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সঙ্কেত সেচদপ্তর জারি করে। তুফানগঞ্জের রায়ডাক-১ ও কোচবিহার শহর লাগোয়া তোর্সা নদীতেও জলস্তর বেড়েছে।
পুরসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা সিপিএমের মহানন্দ সাহা বলেন, রাতের বৃষ্টিতে শহরের প্রায় সব ওয়ার্ডেই জল দাঁড়িয়ে যায়। কোচবিহারকে হেরিটেজ শহর করার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু পুরসভা আজ পর্যন্ত জল জমার সমস্যা মেটাতে পারল না। এখন মানুষের আর্থিক সঙ্কট চলছে। সামনে পুজো। তার মধ্যে এই জলবদ্ধতায় মানুষের দুর্দশার শেষ নেই। আমরা এটা প্রশাসনকে জানাব।
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ভূষণ সিং বলেন, শহরের জল বের হওয়ার জন্য পাঁচটি স্লুইস গেট রয়েছে। নদীর জল বাড়লে স্লুইস গেট বন্ধ করে দিতে হয়। নদীর জল না কমলে স্লুইস গেট খোলা যাবে না। অবিরাম বৃষ্টি হলে জল জমতেই পারে। এটা বিরোধীরাও জানে। বিরোধিতা করার জন্য এসব বলে ওরা হাওয়া গরম করতে চাইছে।
এদিন সকালে কোচবিহারের ২০টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ ওয়ার্ডের বহু রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যায়। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গোপাল সাহা সরণীতে প্রায় কোমর পর্যন্ত জল ছিল। অনেকেই সেই জল ভেঙে চলাচল করতে বাধ্য হন। অনেকের ঘরে জল ঢুকে যায়। কোচবিহার রাজবাড়ির সামনের রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যায়। সুনীতি রোড, কামেশ্বরী রোড, রামকৃষ্ণ আশ্রম সংলগ্ন রাস্তায় জল ছিল। যদিও দিনে সেভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় কিছু কিছু এলাকা থেকে জল নামতে শুরু করে। নিকাশি নালাগুলি বেহাল হওয়ার কারণে জল দাঁড়িয়ে যায়, অভিযোগ বাসিন্দাদের।
সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাথাভাঙায় মানসাই নদীতে এদিন দুপুরে ৪৭.৮৩ মিটার জল ছিল। ফলে অরক্ষিত এলাকায় হলুদ সঙ্কেত জরি করা হয়। তুফানগঞ্জের রায়ডাক-১ নদীতে ৩৫.০২ মিটার জল ছিল। তোর্সায় জল ছিল ৪১.৪৬ মিটার। দুই নদীতেই জল বাড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় হলদিবাড়িতে ৩৫.০২, পারডুবিতে ৭৩.৬, মাভাভাঙায় ৮০.০, সিতাইতে ১৪.১, শীতলকুচিতে ১৫, মেখলিগঞ্জে ১৫২.৮, দিনহাটায় ৫১.৬ এবং বারোকোদালিতে ১৬৬.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।