বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, শিশু অপহরণ ও খুনের এই ঘৃণ্য ঘটনার তদন্তে আমরা শেষ দেখতে চাই। ভুয়ো নথি ব্যবহার করে সিমকার্ড কেনা ও বিক্রির একটি চক্রও জড়িয়ে রয়েছে এই ঘটনায়। সেই সূত্রে আলাদাভাবে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিস সুয়োমোটো মামলাও শুরু করেছে।
মোথাবাড়ি থানার ওসি বিটুল পাল জানিয়েছেন, ভুয়ো নথির বিনিময়ে সিমকার্ড জোগাড় চক্রের যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা হল আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে লাকি, সায়েম ইসলাম ও নুর তাসলিম। তিনজনই অচিনতলা দেবীপুর এলাকার বাসিন্দা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুয়ো নথির বিনিময়ে কেনা সিমকার্ড দিয়ে শিশু অপহরণ ও খুন ছাড়াও আর কী কী অপরাধের পরিকল্পনা অভিযুক্তদের ছিল তা জানার চেষ্টা চলছে। খুনে সরাসরি অভিযুক্তদের পাশাপাশি ভুয়ো সিম ব্যবহারকারীদেরও হেফাজতে নিয়ে জেরার প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিস। এদিকে শিশু অপহরণ ও খুনের ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় রাজনীতির যোগাযোগ নেই বলে পুলিস জানতে পেরেছে। সুতরাং অন্যান্য কারণ ও অপরাধের পিছনে কী মানসিকতা কাজ করেছে তা জানার চেষ্টা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৯ আগস্ট রাত্রে মোথাবাড়ি থানার আমলিতলা গ্রামে নিজের বাড়ির কাছ থেকে অপহৃত হয় এক বেসরকারি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়া নয় বছরের উমর ফারুক। তাঁর বাবা হাফিজুল ইসলাম মোথাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য। অপহরণের পরে তাঁর কাছ থেকে ফোন করে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। অভিযোগ জানানো হয় পুলিসের কাছে। তদন্তও শুরু হয়। বুধবার অপহৃত শিশুর বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে ঝোপের মধ্যে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ইতিমধ্যেই খুনের অভিযোগে মৃত শিশুর খুড়তুতো দাদা ও তার বন্ধু রশিদুল শেখ ও রমজান শেখকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস জানতে পেরেছে, অপহরণের কিছুক্ষণ পরেই শিশুটিকে খুন করা হয়। শিশুটির গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্নও মিলেছে।