কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গে নিযুক্ত ওএসডি ডাঃ সুশান্তকুমার রায় বলেন, এখন রোগীর মৃত্যু নিয়ে গেলো গেলো রব তোলা হয়েছে। বাস্তবে পরিস্থিতিটা কিন্তু অনেকটাই অন্যরকম। গত বছরের তুলায় এবার এখনও পর্যন্ত সার্বিক মৃত্যুর হার কম। কাজেই করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই এই রোগকে পরাজিত করা সম্ভব। করোনা ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুর সংখ্যাও কম।
শিলিগুড়ি শহরে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে মে মাসে ৬৯০ জন, জুন মাসে ৬৪৫ জন ও জুলাই মাসে ৮৭৯ জন মারা গিয়েছে। এবার কিন্তু সংশ্লিষ্ট তিনমাসে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা বেশি। মে মাসে ৭০৪ জন, জুন মাসে ৭৮২ জন এবং জুলাই মাসে ৮৯৬ জন মারা গিয়েছেন। এই পরিসংখ্যা দেখে বিভিন্ন মহল রীতিমতো উদ্বিগ্ন। তাদের বক্তব্য, মূলত মে মাস থেকেই অদৃশ্য ভাইরাস করোনার দাপট চলছে শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিং জেলায়। সম্ভবত সেকারণেই সংশ্লিষ্ট তিনমাসে এখানে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। তবু স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি জেলায় মৃত্যুর হার স্বাভাবিক রয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫৫২৮ জন। এরমধ্যে জানুয়ারিতে ৮৪৭, ফেব্রুয়ারিতে ৮০৪, মার্চে ৯০৩, এপ্রিলে ৭৬০, মে মাসে ৬৯০, জুনে ৬৪৫, জুলাইতে ৮৭৯ জন মারা গিয়েছেন। যারমধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি, ৩৪৬১ জন এবং মহিলার সংখ্যা ২০৬৭ জন। ২০২০ সালে সংশ্লিষ্ট সাতমাসে মৃত্যুর সংখ্যা ৪৫৫৪ জন। এরমধ্যে জানুয়ারিতে ৫৮৫, ফেব্রুয়ারিতে ৬৯৯, মার্চে ৬২৮, এপ্রিলে ২৬০, মে মাসে ৭০৪, জুনে ৭৮২ এবং জুলাইতে ৮৯৬ জন মারা গিয়েছেন। এতে পুরুষের সংখ্যা বেশি, ২৭৯১ জন এবং মহিলার সংখ্যা ১৭৬৩ জন। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবার সাতমাসে ৯৭৪টি কম মৃত্যু হয়েছে।
এই পরিসংখ্যান সামনে এনে ওএসডি বলেন, করোনায় যদি ব্যাপক মৃত্যু হতো, তা হলে সার্বিক মৃত্যুর হার অনেক বেশি হতো। তা কিন্তু হয়নি। গত বছরের প্রথম সাতমাসের তুলনায় এবার সাতমাসে সার্বিকভাবে মৃত্যু কমেছে। এর থেকেই স্পষ্ট এই জেলায় মৃত্যুর হার স্বাভাবিক রয়েছে। করোনা মোকাবিলায় এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে আমজনতার মনোবল চাঙ্গা করা হবে। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের অধিকাংশই বয়স্ক। তাঁদের মধ্যে কো-মোরবিডিটি বা অন্যান্য গুরুতর রোগের উপসর্গ ছিল। তাই এই ভাইরাস নিয়ে ভয়ের কিছু নেই।