কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বর্তমানে মালদহ তথা ইংলিশবাজার শহরে করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এভাবে চললে তা থেকে ছাত্রছাত্রীরাও সংক্রামিত হতে পারেন বলে চিকিৎসকরা মনে করছেন। অবিলম্বে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে শহরবাসী সরব হয়েছে। এদিকে, জেলা কালেক্টরেট চত্বর সহ শহরের বিভিন্ন বাজারেও প্রতিদিন ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকে মাস্ক পরছেন না। সামাজিক দূরত্ববিধি না মানলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার থেকে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় থাকা কলেজগুলিতে প্রথম বর্ষের প্রথম সেমেস্টারে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির জন্য এবার পুরো ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনেই সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এব্যাপারে গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন। সোমবার থেকে অনলাইনে ফর্ম পাওয়া যাচ্ছে। ২৪ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত ওই ফর্ম পূরণ করা যাবে। ২৮ আগস্ট অনার্স এবং জেনারেল কোর্সের ভর্তির মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। চয়েস বেস ক্রেডিট সিস্টেমের আওতাতেই এবার ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে পুরো বিষয়টি কলেজগুলির অধ্যক্ষদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের হয়রানি এড়াতে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে। কিন্তু মালদহের মতো প্রান্তিক জেলায় অনলাইনে ফর্ম পূরণেও যে ছাত্রছাত্রীদের অনেক হ্যাপা পোহাতে হচ্ছে তা রথবাড়ির ঘটনায় স্পষ্ট।
রথবাড়ি ফ্লাইওভারের নিচে থাকা অনলাইন সেন্টারগুলির কোনওটিতে একটি, কোনওটিতে বা দু’টি কম্পিউটার রয়েছে। সেন্টারের মালিকই ওই কম্পিউটার চালান। সেন্টারের মধ্যে জায়গা অত্যন্ত অপরিসর। একসঙ্গে তিন-চারজন বসা কার্যত দায় হয়ে দাঁড়ায়। সেন্টারের সামনেই ব্যস্ত রাস্তা। ফলে সেগুলির সামনে দাঁড়ানো যায় না। সেই কারণে ভর্তির ফর্ম পূরণ করতে আসা ছাত্রছাত্রীরা সেন্টারের ভিতরে ঠাসাঠাসি করে দাঁড়াচ্ছেন। তা থেকেই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এব্যাপারে এক ছাত্রী বলেন, কাজিগ্রাম এলাকায় আমার বাড়ি। মালদহ শহরের একটি কলেজে আমি ভর্তি হতে চাই। তারজন্য ফর্ম পূরণ করতে এসেছি। গ্রামে ইন্টারনেটের স্পিড বেশি নয়। ফলে অনলাইনে কোনও কাজ করতে সমস্যা হয়। তাই বাধ্য হয়ে রথবাড়ি ফ্লাইওভারের নীচে ফর্ম পূরণ করতে এসেছি।
একটি সেন্টারের মালিক বলেন, মুখে মাস্ক না থাকলে আমরা সেন্টারের ভিতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না কাউকে। ছাত্রছাত্রীদের পরপর ঢোকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে অপরিসর জায়গায় সমস্যা একটু হচ্ছেই। মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার জন্য আমরা সকলকে বলছি। তা না মানলে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।