সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় কোচবিহার: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের শেষেই কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ তাদের নবনির্মিত ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হতে পারে। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ চালু হওয়ার পর থেকে শহরের নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম সংলগ্ন যুব আবাসনে অস্থায়ীভাবে পঠনপাঠন ও প্রশাসনিক কাজকর্ম চলছে। ওদিকে, পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ২৫ একর জমিতে মেডিক্যাল কলেজের নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশন লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে একটি নামী নির্মাণ সংস্থা সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ করছে। সেই কাজ অনেক দূর এগিয়েও গিয়েছে। এবার মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ভবন, হস্টেল, ল্যাবরেটরি, ক্লাস, লাইব্রেরি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই সেখানে স্থানান্তরিত করার উদ্যোগ শুরু হচ্ছে। ওই জায়গায় এখনও কিছু কাজ বাকি। সেইসঙ্গে কিছু পরিকাঠামোগত সমস্যা আছে। সেসব সমস্যা মেটানোর জন্য কাজ চলতে থাকবে। তারমধ্যেই নতুন জায়গায় স্থানান্তরিত হয়ে সেখানেই সবকিছু স্থায়ীভাবে শুরু করতে চাইছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ সুকুমার বসাক বলেন, আশা করছি চলতি মাসের শেষের দিকে মেডিক্যাল কলেজের নতুন ক্যাম্পাসে আমরা স্থানান্তরিত হতে পারব। সেখানে যাওয়ার জন্য কী কী দরকার তা নিয়ে পর্যালোচনা হচ্ছে। জল, আলো, নিরাপত্তা প্রভৃতির বিষয়গুলি সব ঠিকঠাক আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেখানে নির্মাণ কাজ কতদূর এগিয়েছে, আমরা সেই বিষয়ে একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি। সবকিছু ঠিক থাকলেও চলতি মাসেই ওই ভবনে কিছু কাজ শুরু করতে পারব। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান জায়গা থেকে প্রশাসনিক কাজকর্ম, পঠনপাঠন, ক্লাস, হস্টেল, কোয়ার্টার, ল্যাবরেটরি, ইন্টার্ন হস্টেল সহ সবকিছুই সেখানে স্থানান্তরিত করা হবে। সেখানে কতটা কাজের অগ্রগতি হয়েছে, সেই বিষয়টি নির্মাণকারী সংস্থার কাছে জানতে চাওয়ার পাশাপাশি বাকি কাজগুলি শেষ করতে আরও কতদিন লাগতে পারে, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে চাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট হাতে এলে সেই অনুসারে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সংক্রান্ত পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমনে সেখানে ৬০ শতাংশেরও বেশি কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে সেখানে গেলেও ভবনের একাংশ হস্তান্তরিত হবে। তারপর সেখানে মেডিক্যাল কলেজের কাজ চলার পাশাপাশি বাকি নির্মাণকাজ ও অন্যান্য কাজ শেষ হবে।
বর্তমানে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের অধীনে ১০০ ছাত্রছাত্রী রয়েছেন। আগামী দিনে এমসিআইয়ের অনুমোদন পেলে আরও ছাত্র ভর্তি হবেন। এছাড়াও ১০০ জনেরও বেশি অধ্যাপক-চিকিৎসক রয়েছেন। এখন অস্থায়ী জায়গায় এঁদের পঠনপাঠন চলছে। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়টি আগের কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালের ভবনে হয়। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা, প্রশাসনিক কাজের একাংশ সহ বেশকিছু কাজ যুব আবাসন থেকেই হচ্ছে। এবার নতুন জায়গায় স্থানান্তরিত হলে সেখানেই পড়ুয়াদের ক্লাস চালু হবে।