কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সরব পর্যটনমন্ত্রী। কয়েকদিন আগে প্রশাসনিক বৈঠক করে মন্ত্রী জমি দখল ও বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। সেইমতো প্রশাসন অভিযানে নেমে একটি স্কুলের সামনে বেআইনিভাবে নির্মাণ করা কয়েকটি দোকান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়। এরপরও কিন্তু জমি দখল ও বেআইনি নির্মাণ বন্ধ হয়নি। বেপরোয়াভাবে শহরের ৪১, ৪২ ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে ফুটপাত ও নিকাশি নালা দখল করে চা, পানের দোকান, গ্যারেজ প্রভৃতি তৈরি করা হচ্ছে। বাঁশের খুঁটি কিংবা সিমেন্টের খুঁটি পুঁতে গড়া হচ্ছে দোকানগুলি। কোথাও কোথাও আবার লোহার কাঠামো দিয়ে দোকান ঘর তৈরি করা হচ্ছে।
শহরের পাশাপাপাশি দাগাপুর, মাটিগাড়া, শিবমন্দির, নকশালবাড়ি, পানিট্যাঙ্কি প্রভৃতি এলাকাতেও জমি মাফিয়াদের দাপট অস্বাভাবিক। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলির গাছের চারা লাগিয়ে কিংবা বাঁশ পুঁতে চা বাগান ও নদীর চর কব্জা করা হচ্ছে। দখল নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই প্লট করে জমিগুলি বিক্রি করা হচ্ছে। এলাকার লোকেশনের উপর নির্ভর করছে জমির দাম। সেজন্য কোথাও ৫০ হাজার টাকা, আবার কোথাও দু’লক্ষ টাকা কাঠা হিসেবে জমি বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জমির নথি বের করে দেওয়া থেকে বাড়ি নির্মাণ সমস্তটাই নিয়ন্ত্রণ করছে জমি হাঙররা। এ জন্য এলাকাগুলিতে বালি, পাথর, লোহার রড, ইট ও সিমেন্টের ব্যবসার সিন্ডিকেটও তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর যাঁদের পাকা বাড়ি তৈরির সামর্থ নেই, তাঁদেরকে বাঁশ, কাঠ, বেড়া দিয়ে ঘর বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির যুব মোর্চার শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন দেবনাথ বলেন, জবরদখল ও জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে মন্ত্রীর হুঙ্কার ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া কিছুই নয়। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। গৌতমবাবু অবশ্য বলেন, বেশকিছু এলাকা থেকে জবরদখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। অপেক্ষা করুন নিয়ম মেনে আরও উচ্ছেদ হবে। তবে ওই সব পার্টির কথার কোনও গুরুত্ব নেই।