কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার পুরসভায় গিয়ে পুর পরিষেবা নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন ও সদস্যদের পাশাপাশি আমাদের দলের সদ্য প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা কোঅর্ডিনেটররাও ওই বৈঠকে থাকবেন। নাগরিকরা যেন সুষ্ঠু পুর পরিষেবা পান তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।
ইংলিশবাজার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন তথা বিধায়ক নীহার ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিগত পুরবোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তথা বর্তমান প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য দুলাল সরকার বলেন, আমরা নিজেরাও চেয়েছিলাম যেন দলের জেলা সভানেত্রী পুরসভায় এসে পরিষেবার বিভিন্ন দিক নিয়ে একটি বৈঠক করেন। তিনি আমাদের আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ায় আমরা খুশি।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আমি নিজেই পুরসভার বর্তমান চেয়ারপার্সন ও জেলা সভানেত্রীকে জানাই যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে উন্নয়নমূলক যে কাজগুলি বাকি রয়েছে তা নিয়ে একটি বিশদ আলোচনা করা হোক। উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করে পুর পরিষেবা উন্নয়নের কাজ দ্রুত শুরু করে দেওয়া হোক। এই বিষয়েই ওই বৈঠকে আলোচনা হবে।
এদিকে জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, চেয়ারপার্সনের উপরে ক্ষুব্ধ কোঅর্ডিনেটরদের অনেকেই সম্প্রতি মৌসমের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। জেলা তৃণমূল সভানেত্রীর কাছে তাঁরা অভিযোগ জানান, একতরফা কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছে প্রশাসকমণ্ডলী। কোঅর্ডিনেটরদের উন্নয়নের কাজে যুক্ত করা হচ্ছে না। পুর পরিষেবার ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে। ইংলিশবাজার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বলেন, পুর প্রশাসনের অন্যতম দায়িত্ব হল বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ, সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা বজায় রাখা এবং নিয়মিত আবর্জনা নিষ্কাশন।
বিগত পুরবোর্ডের কাজকর্ম নিয়ে এর আগেও আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। ওই বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রশাসকমণ্ডলী দায়িত্ব নেওয়ার পরেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। প্রথমে আমাদের কোঅর্ডিনেটর নিয়োগের ক্ষেত্রে টালবাহানা করা হয়। পরে কোঅর্ডিনেটর করা হলেও পুরসভার উন্নয়নে শামিল করা হয়নি। বিয়ষগুলি মৌসম নুরের কাছে তুলে ধরেছিলাম। তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে পুরসভায় গিয়ে আলোচনা করতে রাজি হয়েছেন।