বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ২০০৩ সালে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বরাদ্দে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেতুটির দু’পাশে পাকা গার্ডওয়াল না থাকায় নদীর জলস্রোতে সেতুর একপাশ ধসে গিয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ না করায় সেতুটি ধসে পড়েছে। গার্ডওয়ালের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে বর্ষার শুরুতে সেতু ধসে গিয়ে জনজীবন বিঘ্নিত হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বিকু মাহাত বলেন, ১১ জুলাই দুধলং নদীর জলস্রোতে সেতুটি ধসে গিয়েছে। সেতুর একপাশের ৬ ফুট অংশ ধসে গিয়েছে। এর ফলে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন বাসিন্দারা। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তাপস সরকার বলেন, খড়িবাড়ি ব্লকের দুধলং সেতুটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দলকে সেতুটি পর্যবেক্ষণে পাঠিয়েছিলাম। সেটি এখন চলাচলের অযোগ্য। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী সেতুটি নতুন করে তৈরি করতে হবে। এই রিপোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া যাতায়াতের জন্য সাময়িকভাবে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতিকে সেখানে বাঁশের সেতু তৈরি করতে বলেছি।
মহকুমা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেতুটির দৈর্ঘ্য ১৫ মিটার ছিল। কিন্তু সেতুর একপাশ নদীগর্ভে ধসে পড়েছে। আরেক পাশ ভেঙে গিয়েছে। এর ফলে সেতুটি মেরামত করে ব্যবহার করা যাবে না। নতুন করে তৈরি করতে হলে প্রায় ২৫ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতুটি বাড়াতে হবে। এতে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হবে।
সেতুটি ধসে যাওয়ায় বোতলডাঙ্গি, কিলাঘাটা, রামভোলা, ঝিঙ্গাজোত, ধুলিয়া, রাইমতি, হাতিডোবা, ঝড়ুজোত গ্রামের হাজার পাঁচেক মানুষ সমস্যায় পড়েছে। তাদের নানা প্রয়োজনে দুধলং নদী পার হয়ে নানা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যেতে হয়। প্রতিদিন অন্তত দেড় হাজার থেকে দুই হাজার মানুষ যাতায়াত করে। সেতুটি ধসে পড়ায় রাঙ্গালি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র সহ বাজারঘাটে যেতে পারছেন না বাসিন্দারা। পাশাপাশি কৃষিজ পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়েছেন একাধিক গ্রামের কয়েকশো চাষি। নিজস্ব চিত্র